রবিবার ● ২৭ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » ঢাকা » সাংবাদিক ও পুলিশের মধ্যকার সম্পর্ক চমৎকার : ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া
সাংবাদিক ও পুলিশের মধ্যকার সম্পর্ক চমৎকার : ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া
অনলাইন ডেস্ক :: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ডিএমপিতে ৬ মাসে কোনো ভুয়া মামলা হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভুয়া মামলায় কেউ আসামি হলে তাকে মুক্তি দেয়া হবে।
আজ রবিবার দুপুরে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের, সহ-সভাপতি মিজান মালিক, সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক দুলাল হোসেন মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ নিজাম, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম, পুলিশ কর্মকর্তা কৃষ্ণপদ রায়, মোসলেহ উদ্দিন, শেখ নাজমুল আলম ও ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, হাতে ক্ষমতা আছে বলেই যাকে তাকে ধরে চালান দেয়া যাবে না। এ ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়।
কমিশনার আছাদুজ্জামান বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের মনোমালিন্যের ঘটনা ঘটলেও এখন তা শুধুই অতীত। এখন সাংবাদিক ও পুলিশের মধ্যকার সম্পর্ক চমৎকার। এখন কর্মঠ ও শিক্ষিত তরুণরা সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে কমিশনার হওয়ার পর দেখি সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের প্রায়ই ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটে। অনেক সময় কমিশনারের অফিসের সামনে, ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের সামনে সাংবাদিকরা মানববন্ধন করেছেন। কিন্তু এখন এসব অতীত। উভয়পক্ষের মনোভাব পরিবর্তন হওয়ায় এখন আর অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটছে না।
তিনি বলেন, পুলিশের মনোভাব পরিবর্তন করতে আমি নিয়মিত কাউন্সেলিং করি। পুলিশ সদস্যদের বল প্রয়োগের চেষ্টা এবং খবরদারির মনোভাব ত্যাগ করার কথা বলি।
ট্রাফিক সদস্যদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঘটনাস্থলে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে বিরোধে জড়াবেন না। বিরোধে জড়ালে উল্টো আসামি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ঘটনাটি ভিডিও করে নিয়ে আসবেন। পরে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
সন্ত্রাস, মাদক ও জনহয়রানি বন্ধে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, গাড়ি রিকুইজিশন, ৫৪ ধারায় গ্রেফতার এবং বিচারাধীন মামলায় আসামি করার কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। তাই ওইসব বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনেক শঙ্কা ছিল। কিন্তু জনগণ সন্ত্রাস-নৈরাজ্য প্রশ্রয় দেয়নি বলেই তেমন কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেনি।
আগামী দিনে দেশকে বোমা-সন্ত্রাস মুক্ত রাখতে ক্র্যাবের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, আমরা এ দেশকে আরেকটি আফগানিস্তান বানাতে চাই না। বাংলাদেশকে অমিত সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দেশের পাসপোর্ট হবে সবচেয়ে দামি পাসপোর্ট।
ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের বলেন, ৩৭ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে পুলিশের সঙ্গে কাজ করছি। এ মুহূর্তে পুলিশের সঙ্গে সাংবাদিকদের সবচেয়ে সুসম্পর্ক বিরাজ করছে। আধুনিক যুগে নেগেটিভ নিউজকে মানুষ ভালো চোখে দেখে না। বিষয়টি মাথায় রেখেই সাংবাদিকরা কাজ করছেন। কোনো একজনের অপকর্মে একটি বাহিনী বা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। দেশের স্বার্থে, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে আমরা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মের খবর প্রচার করি। সুত্র : যুগান্তর