সোমবার ● ২৮ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » গাড়ির স্ট্যান্ড স্থানান্তর কে কেন্দ্র করে জৈন্তাপুরে মুখোমুখি চালক জনতা
গাড়ির স্ট্যান্ড স্থানান্তর কে কেন্দ্র করে জৈন্তাপুরে মুখোমুখি চালক জনতা
সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার চতুল বাজারের মূল রাস্তার যানজট নিরসনে বাজারের অটোরিকশা সিএনজি, ক্যারিক্যাব ও লেগুনা গাড়ির স্ট্যান্ড স্থানান্তর নিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার পরিবহন চালকরা ও প্রশাসনসহ বাজার কমিটি মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। স্ট্যান্ড স্থানান্তর কে কেন্দ্র করে যে কোন সময় বড়ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
স্ট্যান্ড স্থানান্তর কে কেন্দ্র করে জৈন্তাপুর উপজেলার পরিবহন চালকরা গত কয়েকদিন থেকে কানাইঘাটের গাড়ি চালকদের মারধর এবং গাড়ি থেকে জোর পূর্বকভাবে যাত্রী নামিয়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কানাইঘাটের অটোরিকশা সিএনজি, লেগুনা, ক্যারিক্যাব গাড়ির চালকরা যাত্রী বহন করে সিলেট ও দরবস্ত বাজারে নিয়ে যাওয়ার পথে জৈন্তাপুরের সিএনজি গাড়ির চালকরা দরবস্ত সহ বিভিন্ন স্থানে কানাইঘাটের গাড়ি আটক করে যাত্রীদের হেনেস্তা করে তাদের গাড়িতে উঠিয়ে নেওয়া সহ ও চালকদের মারধরের ঘটনায় রবিবার বিকেল ৩টায় কানাইঘাট উপজেলার আট পরগনাবাসীর উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা চতুল দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক সাবেক মেয়র বিশিষ্ট মুরব্বী লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আট পরগনার বিশিষ্টজন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সহ পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের সাথে জড়িত গাড়ির চালকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বড়চতুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হোসেন চতুলী ও সাবেক চেয়ারম্যান মুবশ্বির আলী সহ মুরব্বীয়ানরা বলেন, চতুল বাজারে জৈন্তাপুর উপজেলা সহ তিন পরগনার বাজার। বাজারে হাজার মানুষ সব সময় কেনাকাটা করে থাকেন। বাজারের পশ্চিম পাশে রাস্তার উপর সিএনজি, ক্যারিক্যাব ও লেগুনা স্ট্যান্ড থাকায় জন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় এবং বাজারের সব সময় যানজট লেগে থাকায় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ও সকলের মতামত নিয়ে পশ্চিম ও পূর্ব বাজারের স্ট্যান্ড গত বুধবার থেকে বাজারের অন্যত্র স্থানে স্থানান্তর করা হয়।
কিন্তু বাজারের ব্যবসায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে পশ্চিম বাজারের উচ্ছেদকৃত স্ট্যান্ড থেকে জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকার অটোরিকশা সিএনজি, ক্যারিক্যাব, লেগুনা গাড়িুর চালকরা বাজারের যানজট সৃষ্টি করে যাত্রী বহন অব্যাহত রাখলে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
গত বুধবার থেকে জৈন্তাপুরের পরিবহন চালকরা চতুল বাজারের ব্রীজের পশ্চিম পাশে স্ট্যান্ড বসিয়ে কানাইঘাট বাজার, চতুল বাজার, সুরইঘাট বাজার সহ বিভিন্ন জায়গার যাত্রী নিয়ে কানাইঘাটের অটোরিকশা চালকরা সিলেট ও দরবস্তে যাওয়ার সময় জৈন্তাপুরের পরিবহন চালকরা দরবস্ত সহ বিভিন্ন স্থানে তাদের গাড়ি আটক করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া সহ চালকদের মারধর ও গাড়ী আটক করে থাকে। এতে করে কানাইঘাটের আট পরগনার সর্বস্তরের লোকজন, পরিবহন চালক ও যাত্রীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তারা বলেন, কানাইঘাটের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট উপজেলার পরগনার নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে এব্যাপারে বিচার দিয়ে কোন সমাধান পাচ্ছেন না। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কানাইঘাটের গাড়ি সিলেট-দরবস্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দূর করা না হলে কানাইঘাট অভিমুখী সব ধরনের যানবাহন চতুল বাজারের আটক করে অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয় প্রতিবাদ সভায়। এব্যাপারে সিলেটের প্রশাসন কে এগিয়ে আসার আহবান জানান তারা।
আট পরগনার এ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আব্দুল মুমিন চৌধুরী, কানাইঘাট সাতবাক ইউপি চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশ, বানীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান জেমসলিও ফারগুশন নানকা, সাবেক চেয়ারম্যান মুবশ্বির আলী চাচাই, ফারুক আহমদ চৌধুরী, আট পরগনার মুরব্বী হাজী আব্দুল হেকিমসহ আট পরগনার বিশিষ্ট মুরব্বীয়ান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।