শুক্রবার ● ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে পোল্ট্রি ফার্ম থেকে নির্গত বর্জ্য ডাবুয়া খালে ফেলার কারণে পানি ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে
রাউজানে পোল্ট্রি ফার্ম থেকে নির্গত বর্জ্য ডাবুয়া খালে ফেলার কারণে পানি ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে
রাউজান প্রতিনিধি :: চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলায় যে কয়টি খাল আছে তার মধ্যে অন্যতম ডাবুয়া খাল। দীর্ঘদিন খালটি খনন না করার কারনে এমনিতে নাব্যতা সংকটে পড়েছে। তার উপর যুক্ত হয়েছে খালের মধ্যে বিষাক্ত বর্জ্য ফেলানোর প্রতিযোগিতা। এই খালের দুই পাশে শুকনো মৌসুমে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করা হয়। জোয়ারে আসা পানি এইসব সবজি ক্ষেতে সেচের পানি হিসেবে ব্যবহার হয়।
ইদানিং এই খালের আশেপাশে এবং নিকটবর্তী দূরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য পোল্ট্রি ফার্ম। এইসব পোল্ট্রি ফার্ম থেকে নির্গত হওয়া বর্জ্য ডাবুয়া খালে ফেলার কারণে পানি ও পরিবেশ দূষিত হয়ে কালো আকার ধারণ করেছ। যেই রকম পানি সাধারণত শহরের কল কারখানা এলাকার খালে দেখা যায়।
শুধু যে পোল্ট্রি বর্জ্য ফেলে তা নয়, খালের পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য শোচাগার। যেখানে মানুষের প্রতিদিনের মলমূত্রও সরাসরি খালে পড়ে। তাছাড়া কারো গবাদি পশু মারা গেলেও তা মাটি চাপা না দিয়ে এই খালে এনে ফেলে। যার ফলে প্রকৃতি হয়েছে বিপন্ন। এখন নাব্যতা সংকটের কারণে আগের মতো স্বাভাবিক ভাবে পানি চলাচল করে না। যে পরিমাণ পানি চলাচল করে তাও বিষাক্ত বর্জ্য যুক্ত, যা কালো আকার ধারণ করেছে।
এই রকম পানি কোন ভাবেই সেচ কাজে ব্যবহারের উপযোগী নয়। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকরা। একটা সময় এই খাল থেকে মাছ ধরে এই এলাকার মানুষ আমিষের জোগান দিত। এখন নাব্যতা সংকট এবং বিষাক্ত বজ্যের কারনে এই খাল থেকে মাছ বিলুপ্ত প্রায়।
নাব্যতা সংকটের কারনে বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলে উপর থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ফসল তলিয়ে যায়। যেই খালের ভূমিকা এক সময় এই এলাকার মানুষের আশীর্বাদ হিসাবে ছিল, সেই খাল অভিশাপে রূপ নিয়েছে শুধু মাত্র মানুষের সৃষ্ট কারণে।
এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি ডাবুয়া খাল খনন করে আগের নাব্যতা ফিরিয়ে দেয়া এবং সেই সাথে এই খালের মধ্যে সব রকমের বর্জ্য ফেলানো থেকে বিরত রাখতে সাধারণ মানুষকে বাধ্য করা।