রবিবার ● ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » চাটমোহর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ৬ শিক্ষককে হুমকির অভিযোগ
চাটমোহর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ৬ শিক্ষককে হুমকির অভিযোগ
মো. নূরুল ইসলাম, চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: পাবনার চাটমোহর সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে একই কলেজের নন এমপিও ভুক্ত ৬ শিক্ষককে হুমকী প্রদান ও হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকরা এমন অভিযোগ তুলে তাদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার অসীম কুমারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগকারী শিক্ষকরা হলেন : বাংলা বিভাগের প্রভাষক নাসির উদ্দিন ও রবিউল করিম, সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক মো. সালাউদ্দিন ও মো. রুহুল আমিন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নাজমুল হক ও ডিগ্রী শাখার প্রভাষক খাতুনে জান্নাত।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ফাঁকা রেজুলেশন পাতায় স্বাক্ষর করতে পীড়াপিড়ী, বেতন নেবে না মর্মে সাদা কাগজে স্বাক্ষর না দেওয়ায় হুমকি, মানসিক হয়রানি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকিসহ ৮টি কারণ উল্লেখ করে এর প্রতিকার চেয়েছেন অনার্স শাখার ৫ জন এবং ডিগ্রী শাখার একজন শিক্ষক। অভিযোগ পাওয়ার পর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাটমোহর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও সরকার অসীম কুমার। শিক্ষকরা বেতন ভাতা প্রদান এবং চাকরি স্থায়ী করণের ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারেন বলে আশংকা প্রকাশ করে তাদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন ওই ৬জন শিক্ষক।
অভিযোগকারী শিক্ষদের মধ্যে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘কলেজ সরকারি করণ হওয়ার পর থেকে আমরা বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষাদান করে আসছি। আমরা বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে আছি। কলেজ অধ্যক্ষের নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করায় তিনি আমাদের অনেক চাপে রেখেছেন। কলেজে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য মুলত আমরা অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযোগের ব্যাপারে চাটমোহর সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, এ ধরণের কথার কোন ভিত্তি নেই। সাদা কাগজের স্বাক্ষর নেওয়ার প্রশ্নই আসে না এবং কোন ধরণের ভয়ভীতি বা হুমকি প্রদান করা হয়নি। কেউ স্বপ্রণোদিত হয়ে স্বাক্ষর দিতে পারে বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার অসীম কুমার সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, শিক্ষকদের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। এছাড়া আমার কাছে ওই কলেজের আর্থিক অসঙ্গতিসহ বেশ কিছু অনিয়মের তথ্য রয়েছে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।