সোমবার ● ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » চলনবিল অঞ্চলে সরিষা চাষীদের মুখে হাসি
চলনবিল অঞ্চলে সরিষা চাষীদের মুখে হাসি
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে চলনবিল অঞ্চলের সরিষা চাষীদের চেখে মুখে এখন হাসির ঝিলিক। ইতি মধ্যেই টরি-৭ জাতের সরিষা উত্তোলন শুরু করেছেন কৃষক। কয়েক দিনের মধ্যে বারী-৯, ১১,১৪ ও ১৫ জাতের সরিষা উত্তোলন শুরু হবে। চলনবিলে প্রায় সব এলাকাতেই কম বেশি সরিষার আবাদ হলেও উত্তরাংশের নিমাইচড়া ও হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বিলগুলোর নয়নাভিরাম সরিষা ক্ষেত সবার দৃষ্টি কাড়ছে।
হান্ডিয়াল ইউনিয়নের হাসুপুর গ্রামের সরিষা চাষী ইয়ার মাহমুদ বলেন, এ বছর ৪ বিঘা জমিতে বারি-১৪ (হলুদ সরিষা), ও ২ বিঘা জমিতে টরি-৭ (মাঘী) সরিষার আবাদ করেছেন তিনি। চাষ বীজ সার কীট নাশক জমি থেকে সরিষা উত্তোলন পর্যন্ত বিঘা প্রতি চার হাজার টাকার মতো খরচ পরছে। গড়ে প্রতি বিঘা জমিতে ৬ মনের মতো সরিষা হতে পারে। বর্তমান স্থানীয় হাট বাজারে কাচা ভেজা নতুন সরিষা ১ হাজার ২শ থেকে ১ হাজার ৩শ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। ৬ বিঘা জমি সরিষা আবাদে তার ২৪ হাজার টাকার মতো খরচ হচ্ছে। এ বছর সরিষা আবাদে ১৯ হাজার টাকার মতো লাভ থাকবে তার।
নিমাইচড়া ইউনিয়নের নিমাইচড়া পশ্চিম পাড়ার সরিষা চাষী রেজাউল করিম বলেন, চলতি মৌসুমে তিন বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন তিনি। জমি চাষ, বীজ, ড্যাপ, ইউরিয়াসহ অন্যান্য সার ও কীট নাশক প্রয়োগ বাবদ এ পর্যন্ত বিঘা প্রতি প্রায় ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। তিন বিঘা জমিতে সরিষার আবাদে এ পর্যন্ত ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। বিঘা প্রতি ৭ মন ফলন পাওয়ার আশা করছেন তিনি। সে হিসেবে তিন বিঘা জমি সরিষা চাষ করে প্রায় ১৩ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন তিনি। অন্যান্য সরিষা চাষীরাও বলেন, এ মৌসুমে সরিষা আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন তারা। এ লাভের টাকা তাদের বোরো আবাদে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
কৃষি অফিসে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে ৫ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জন হয়েছে ৫ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে চাটমোহরে সরিষা চাষে কৃষকেরা লাভবান হবেন।