বুধবার ● ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » ঢাকা » আসন্ন উপজেলা পরিষদ র্নিবাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
আসন্ন উপজেলা পরিষদ র্নিবাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
ঢাকা প্রতিনিধি :: আসন্ন উপজেলা পরিষদ র্নিবাচন প্রত্যাখান করে তা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। এর পাশাপাশি পার্টি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনও প্রত্যাখান করে তা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
গত সোমবার সকালে সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এ ঘোষণা দেন।
এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৩০ ডিসেম্বরের অভূতপূর্ব ভোট জালিয়াতির পর নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। দেশে এধরণের পরিস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও জাতীয় নির্বাচনের মতো অর্থহীন ও অকার্যকরি হয়ে পড়েছে। নির্বাচনের নামে এসব তামাশায় অর্থ ব্যয় ও সময় ব্যয় অপ্রয়োজনীয় ও জাতীয় অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়। আর এ অবস্থায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ র্নিাচন প্রত্যাখান করে তা বর্জনের ঘোষণা প্রদান করা হয়। একই সাথে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ও ক্ষমতাসম্পন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, ভোটের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক ধারার সরকার পরিবর্তন ও ভোটারদের পছন্দের দলকে বেছে নেয়ার সাধারণ গণতান্ত্রিক পরিসর ও সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সমগ্র নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কার্যত ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
সাইফুল হক বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানসমূহের পেশাদারী কর্তব্য ও নিরপেক্ষতা নষ্ট করে সরকারি দল ও জোটের ভোট জালিয়াতি আর ভোট ডাকাতির সহযোগিতে পরিণত করা হয়েছে। অনাকাক্সিক্ষতভাবে শাসকদলের ক্ষমতায় টিকে থাকার সাথে এদের অস্তিত্ব ও ক্ষমতাকে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। ভোটের নামে এক ধরনের প্রশাসনিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থাকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। আর এজন্য পার্টি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতো আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও প্রত্যাখান করে তা বর্জনের ঘোষণা প্রদান করছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকারের অনভিপ্রেত রাজনৈতিক-প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও উপযুক্ত নীতিমালা না থাকায় এই পর্যন্ত স্থানীয় সরকার স্বশাসিত, গণতান্ত্রিক, জবাবদিহীমূলক ও ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ও ক্ষমতাসম্পন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনও এগিয়ে নেবার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, সজীব সরকার রতন ও কেন্দ্রীয় সংগঠক ইমরান হোসেন প্রমুখ।