শনিবার ● ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » স্বামী ঘর ছেড়ে পালানো গৃহবধুকে নিয়ে মা উপস্থিত হলেন থানায়
স্বামী ঘর ছেড়ে পালানো গৃহবধুকে নিয়ে মা উপস্থিত হলেন থানায়
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: গত বুধবার সন্ধ্যায় রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের আদমশাহ’র বাড়ী থেকে স্বামীর ঘরে থেকে নিখোঁজ হওয়া প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর গৃহবধু রাজিয়া সুলতানা রূপা(২৩)কে নিয়ে তার মা রাউজান থানায় হাজির হয়েছে। রূপা নিখোঁজ হওয়ার ওই ঘটনায় স্থানীয় অনেকেই বলাবলি করছিল এই গৃহবধুকে জ্বীনে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এই ধারণা থেকে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনরা ওই রাতে বাড়ীতে কয়েকজন ওঝা -বৈদ্য ডেকে তান্ত্রিকমন্ত্রে তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেছিল। আবার স্থানীয় কারো কারো মন্তব্য ছিল নিখোঁজ গৃহবধু পরকিয়ায় জড়িয়ে একমাত্র শিশু সন্তানকে ঘরে রেখে অন্যের হাত ধরে পালিয়েছে।
ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার বিকালে নিখোঁজ স্ত্রীর সন্ধান পেতে স্বামী জাফর আহমদ থানায় গিয়ে লিখিত আবেদন করেন। পুলিশ এই আবেদন পেয়ে ঘটনার জটিলতা খুলতে অনুসন্ধান শুরু করে। পুলিশের তৎপরতা দেখে শুক্রবার বিকালে গৃহবধু রূপাকে নিয়ে তার মা ফটিকছড়ি থেকে রাউজান থানায় হাজির হয়। সন্ধ্যার পর পুলিশ নিখোঁজ রহস্য উদঘাটনের চেষ্টায় রূপাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ওই গৃহবধু প্রথমে পুলিশের কাছে দাবি করে তাকে কয়েকজন লোক স্বামীর ঘরের পিছন থেকে অপহরণ করে নিয়েছিল। পুলিশের অধিকতর জেরার মুখে পড়ে রূপা স্বীকার করতে বাধ্য হয় তার এক আত্মীয়ের প্ররোচনায় আবুল কালাম নামের এক টেক্সি চালকের সাথে সে পরকিয়ায় জড়িয়ে স্বামীর ঘর ছেড়েছে। তবে আবুল কালামের ঠিকানা সে পুলিশে দিতে পারেনি। শুধু বলেছে ঝর্না আকতার নামের তার এক খালাতো বোনের মাধ্যমে আবুল কালামের সাথে তার পরিচয় হয়। খালোতো বোন চেয়েছিল তাকে স্বামীর ঘর থেকে বের করে এনে আবুল কালামের সাথে বিয়ে দিতে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেপায়েত উল্লাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে রূপার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। আপাতঃ তাকে তার মায়ের হেফাজতে দেয়া হয়েছে। জড়িতদের ব্যাপারে আরো অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত ২০১৩ সালের প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর এলাকার মৃত নজরুল ইসলাম মাস্টারের কন্যার সাথে রাউজান উপজেলার হলাদিয়া ইউনিয়নের আদম শাহ বাড়ির মো. জাফরের আনুষ্ঠানিক বিয়ে হয়। এ দম্পতির একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।