সোমবার ● ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজান-রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সীমান্তবতী এলাকায় মাদক ব্যাবসায়ীদের আস্তানায় ছাত্রলীগের অভিযান
রাউজান-রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সীমান্তবতী এলাকায় মাদক ব্যাবসায়ীদের আস্তানায় ছাত্রলীগের অভিযান
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রাম জেলার রাউজান-রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সীমান্তবতী এলাকার রাউজান তাপবিদ্যুৎ এর পূর্ব পাশে এম হান্নান আশ্রয় প্রকল্প একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে রাম দা সহ বেশ কিছূ মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
রাউজান উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. আজিম, ইমাম গাজ্জালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সাহাবউদ্দিন, পাহাড়তলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সৈয়্যদ তানভীর, ইমাম গাজ্জালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন ওয়াহিদ, সাধারণ সম্পাদক এম হাসান প্রমুখ অংশ নেন।
চুয়েটে পুলিশ ফাঁড়ি সূত্র জানায়, আজ সোমবার মধ্যরাতে রাউজান উপজেলার ৯নং পাহাড়তলী ইউনিয়নের মুহামুনি গ্রামের দুই বসতঘরে চুরি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় মেম্বার লিটন ও সাবেক মাইকেল মেম্বারে বাড়িতে।
সুত্রে মতে, সোমবার দিনগত রাত প্রায় ২টায় চোর ঘরে প্রবেশ করে নগদ ১৫ হাজার টাকা, দুই ঘর থেকে দশ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, তিন-চারটি টর্চলাইট, ৮টি মোবাইল চুরি হয়।
এসময় চোরের দল লিটন মেম্বারে ছোট ভাইকে দারালো চুরি দিয়ে রিপন বড়ুয়া(৩০) কে আঘাত করেন।
রাতে চুরির ঘটনাটি হওয়ার পর বিভিন্ন সুত্রে আশ্রয় প্রকল্প এলাকায় অভিযান চালান ছাত্রলীগ গ্রামে একটি ঘরে বসবাস করেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আলমগীর সেই পোমরা সিরাজী পাড়া শুকুর আহম্মেদ ছেলে। আশ্রয় এলাকায় একটি ঘরে মাদক, ইয়াবার আড্ডা গড়ে তোলে। আশপাশের মানুষের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সন্ধ্যা হলে ঐ ঘরে মধ্য মাদকের আড্ডা বসান রাতে বিভিন্ন চাঁদাবাজির, চুরি, ডাকাতি ও কাপ্তাই-সড়কে রাত হলে রাস্তায় মানুষকে জিমি করে ডাকাত ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী আলমগীর মানুষের মোবাইল, টাকা হাতিয়ে নেন।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় ছাত্রলীগের উপস্থিতি টের পেয়ে আলমগীরসহ বেশ কয়েকজন চোর ও ইয়াবা ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়।
আশ্রয় প্রকল্পের ঘর থেকে ৪০টি মোবাইল ফোন, ১০-১২ টি রাম দাসহ চুরি করা ব্যবহিত নানা সামাগ্রি উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, অভিযান চলতে পারে টের পেরে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা আরো ১০-১২ জন চোর পালিয়ে যায় বলে তারা জানতে পারেন। এলাকায় প্রতিদিন খারাপ লোকজন ও কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা আসা যাওয়া করে নিয়মিত। স্থানীয়রা জানান আলমগীর আশ্রয় প্রকল্পে লোকজনকে ভয় লাগিয়ে রাউজান ও রাঙ্গুনিয়াতে চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও ইয়াবা ব্যবসায় ইত্যাদিক করেন।
রাতে চুরি হওয়া ঘর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন জানান, রাউজানের তাপবিদ্যুৎ এলাকার পূর্ব পাশের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার এম হান্নান আশ্রয় প্রকল্পের থেকে উদ্ধারকৃত সরঞ্জাম
রাউজান থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । এ ব্যাপারে রাউজান থানার পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।