শুক্রবার ● ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » দানের প্রতিদান কেউ এইভাবে দিতে পারে ভাবা যায় না
দানের প্রতিদান কেউ এইভাবে দিতে পারে ভাবা যায় না
নয়ন বড়ুয়া :: কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের হামলায় ৩ জার্মান সাংবাদিক ও পুলিশসহ ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। দানের প্রতিদান কেউ এইভাবে দিতে পারে ভাবা যায় না। যেই দেশে গণতন্ত্র চর্চা থাকে না, সেইদেশে সাধারণ জনগণের মতামত উপেক্ষিত থাকে। যেই সময় রোহিঙ্গাদের এই দেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না তখন দেশের কিছু মানুষ সহ এদেশের বিরোধীদল ( যারা বিশ্বাস করে, যেহেতু তারা বিরোধী দল তাই সরকারের ভালো-মন্দ সব কিছুতে বিরোধীতা করতে হবে ) রোহিঙ্গাদের প্রবেশ করতে দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানালেও বেশির ভাগ মানুষ এর বিরোধিতা করেন। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনা যারাই করেন, তাঁরা সেইটাই করবেন যেইটা তাদের কাছে ঠিক মনে হবে। এখানে সাধারণ মানুষের মতামতের মূল্য নেই। যেহেতু প্রকৃত গণতন্ত্র অনুপস্থিত, সেহেতু জবাবদিহিতাও নেই। সেই সময়ও যারা প্রবেশ করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছিলেন, সেই দাবি জানানো মানুষের মাঝখান থেকে বেশিরভাগ মানুষসহ বিরোধীদল যুক্তি দেখিয়েছিলেন রোহিঙ্গারা মানুষ বলে নয়। তাদের যুক্তি ছিল যেহেতু রোহিঙ্গারা মুসলিম সেহেতু তাদেরকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত ।
উল্লেখ্য গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্টের লম্বাশিয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ৩ জন জার্মান সাংবাদিক ও একজন বাংলাদেশি দোভাষী, গাড়িচালক ও পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল খায়ের সিএইচট মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, জার্মান সাংবাদিকরা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশন থেকে সংবাদ সংগ্রহ শেষে ফেরার পথে লম্বাশিয়ায় বাজারে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। রোহিঙ্গাদের হাত থেকে সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে জাকির হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে হামলার কারণ জানাতে পারেননি ওসি।
তিনি জানান, রোহিঙ্গারা বিদেশিদের ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর ও তাদের কাছে থাকা ক্যামেরা, কাগজপত্রসহ (পাসপোর্ট) জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। আহতদের উদ্ধার করে সেনা ক্যাম্পের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ওসি জানান, রোহিঙ্গাদের হামলায় আহত জার্মান সংবাদিকরা হলেন : ইয়োচো লিওলি, এস্ট্যাটিউ এপল ও গ্রান্ডস স্ট্যাফু, বাংলাদেশি দোভাষী মো. সিহাব উদ্দিন (৪১) ও গাড়িচালক নবীউল আলম (৩০)। উখিয়া থানার ওসি মো. খায়ের বলেন, হামলাকারী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।
আমাদের এখানে বেশির ভাগ মানুষের মাঝেই মানবিকতা কাজ করেনি, করেছে সাম্প্রদায়িকতা। বাংলাদেশি মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা রোহিঙ্গাদের মুসলিম হিসেবে ভাই মনে করেছিল, বিশ্বাস করেছিল। এখন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশীদেরকে ভাই মনে করবে তো ? সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখবে তো ?