শুক্রবার ● ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় বিভাগীয় তদন্ত উপেক্ষা করে বিদ্যালয় স্থাপন
গাইবান্ধায় বিভাগীয় তদন্ত উপেক্ষা করে বিদ্যালয় স্থাপন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে জালিয়াতির মাধ্যমে খাস খতিয়ানভূক্ত জমি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে স্থানীয় সমচেতন মহলে নানা জল্পনা-কল্পনাসহ মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে বিজ্ঞ আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন উপেক্ষা করে নালিশী জমিতে বিদ্যালয় স্থাপন তথা জাতীয়করণ হওয়ায় ওই জমির ওয়ারিশগণের মধ্যে এ নিয়ে নানা সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার বিবরণ ও তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সম্পূর্ণ বেআইনী ভাবে উপজেলার আন্দুয়া গ্রামে খাস খতিয়ানভূক্ত ১২ শতক জমিতে আন্দুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এদিকে ওই জমিটি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাদীপক্ষের দায়েরকৃত মামলা উপেক্ষা করে বিদ্যালয়টি জাতীয়করনও করা হয়।
আব্দুস সালাম সরকার জমিটি শিক্ষা বিভাগের নিকট হস্তান্তর করায় গত ২০১৫ সালের ৮ জুন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করা হয় (নং-৬৮/১৫ অন্য)। পরে উক্ত জমির প্রকৃত ওয়ারিশগণ বিজ্ঞ আদালতে ভূয়া জমিদাতা আব্দুস সালাম সরকারসহ শিক্ষা বিভাগ সংশ্লিষ্ট ২৭ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন। এ সংক্রান্ত আরো একটি পৃথক মামলা আদালতে (নং-১৬/১৫ অন্য) বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে একটি মিস কেস (নং-১৩/১৬-১৭) তদন্তাধীন রয়েছে। প্রচলিত আইন মোতাবেক ওই জমিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার আইনগত কোন ভিত্তি নেই।
অপরদিকে, প্রতিষ্ঠাকালীন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী শূন্য থাকলেও কেবলমাত্র কাগজ-কলমে ভূয়া তথ্যের উপর নির্ভর করে বিদ্যালয় পরিচালনার নিমিত্তে দায়সারা একটি কমিটিও গঠন করা হয়। ভূয়া জমিদাতা সালাম গং স্বার্থন্বেষী মহল বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি কমিটির তালিকা উপজেলা শিক্ষা অফিসে দাখিল করেন। বিদ্যালয় স্থাপনে আইনগত ভিত্তি নেই বলে বাদীপক্ষ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় পর্যায় ছাড়াও জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ উর্ধতন বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র মতে, বিদ্যালয়টির ভবিষ্যত আইনগত ভিত্তির বিষয়টি চিন্তা তথা বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তিসহ বিরাজমান অনিয়ম-জালিয়াতির কারণ সমূহ উদঘাটনে মামলার বাদীপক্ষগণ দূর্ণীতি দমন কমিশনসহ শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদয় জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।