রবিবার ● ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে দুটি হত্যা মামলায় ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড
ঝিনাইদহে দুটি হত্যা মামলায় ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে আলাদা দুটি হত্যা মামলায় ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার দুপুরে ঝিনাইদহের জেলা জজ মো: আবু আহছান হাবিব ও অতিরিক্ত জেলা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো: গোলাম আযম এ দন্ডাদেশ প্রদাণ করেন। দন্ডিতরা হলো-সদর উপজেলার নগর বাথান গ্রামের ছবেদ মন্ডলের ছেলে আহাম্মেদ মন্ডল ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার নারায়ণকান্দি গ্রামের হেরাজ মালিতার ছেলে আসমান মালিতা। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ আগষ্ট সদর উপজেলার নগর বাথান গ্রামের আহাম্মেদ মন্ডলের স্ত্রী নাজমা খাতুনকে অসুস্থ অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তে হত্যার বিষয়টি বেরিয়ে এলে পুলিশ স্বামী আহাম্মেদ মন্ডলসহ ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের। পরবর্তীতে পুলিশ স্বামী আহাম্মেদ আলীকে আসামী করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানী শেষে আদালত আহাম্মেদ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। অন্যদিকে, ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর ক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় হরিনাকুন্ডু উপজেলার নারানকান্দি গ্রামের নুর আলী মন্ডলের ছেলে আহাম্মদ আলী। পরদিন সকালে তাকে পোলতাডাঙ্গা গ্রামের মাঠে গুলিবিদ্ধ ও যখম অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে। এ ঘটনায় ৫ ফেব্রুয়ারিা হরিনাকুন্ডু থানায় ৩ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের পিতা নুর আলী। মামলার দুই আসামী মারা যাওয়ায় অপর আসামী আসমান মালিথাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক গোলাম আজম।
ঝিনাইদহে পুকুর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ শহরের পোষ্ট অফিস মোড় এলাকার সুইট হোটেল সংলগ্ন পুকুর একটি পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার দুপুরে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তার নাম বা পরিচয় জানা যায় নি। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস জানান, রোববার সকালে পুকুরে লাশ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসাপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের বিভিন্ন থানায় নিখোঁজের যে জিডি আছে তা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন থানায় বেতার বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। লাশের পরিচয় শনাক্তকরণের ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ময়না তদন্ত ও লাশের পরিচয় পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।