সোমবার ● ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় ঠান্ডা’র হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে সড়ক অবরোধ
গাইবান্ধায় ঠান্ডা’র হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে সড়ক অবরোধ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধার সদর উপজেলায় সাইফুল ইসলাম ঠান্ডা’র হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। আজ সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের তুলসীঘাট বাজার এলাকায় গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে এইসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে স্কুল শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ফেস্টুন হাতে রাস্তার দুইধারে দাঁড়িয়ে ও রাস্তার মাঝে শুয়ে প্রতিবাদ জানায়। এসময় গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে দেড় ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন সাহাপাড়া ইউনিয়ন সাবেক আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মওলা, বর্তমান সভাপতি রিংকু মিয়া, ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়া, ঠান্ডার বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ, ছোট ভাই ওবায়দুল ইসলাম সোনা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ঘটনার দিন পুলিশ সন্দেহ ভাজন একজনকে আটক করলেও হত্যার সঠিক তথ্য এখন পর্যন্ত উৎঘাটন করতে পারেনি। এই ঘটনার সঠিক তথ্য উৎঘাটন করে ঠান্ডার হত্যাকারীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। এঘটনায় হত্যাকারীর বিচার দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান ।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধার সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের তুলসীঘাট বাজারের ব্রীজের নিচ থেকে গত শুক্রবার সকালে সাইফুল ইসলাম ঠান্ডা (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি একই ইউনিয়নের খামার পীরগাছা গ্রামের মৃত. খবির উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে। ওই দিন সকালে এক ব্যক্তি গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের সড়কের তুলসীঘাটের ব্রীজের নিচে সাইফুল ইসলাম ঠান্ডার মরদেহ দেখতে পান।
গাইবান্ধা হাসপাতালে নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক : বিপাকে রোগীরা
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। ফলে রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজন চরম বিপাকে পড়ছেন। এব্যাপারে আবেদন করেও এখন পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়নি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে ২০০ শয্যায় উন্নীত হলেও জনবল অনুমোদন না হওয়ায় ১০০ শয্যার জনবল নিয়েই দৈনন্দিন কার্যক্রম চলছে বছরের পর বছর। আবার সেই ১০০ শয্যার জনবলের মধ্যেও নেই বিভিন্ন রোগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ৭জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট ৫জন, ১জন করে মেডিকেল অফিসার ও ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার এবং ৮জন সহকারী সার্জনসহ বিভিন্ন পদের জনবল।
সূত্রে আরো জানা গেছে, চক্ষু, নাক, কান, গলা এবং চর্ম, যৌন ও এলার্জি রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এসব রোগের রোগীদের রংপুর ও বগুড়ায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। রোগীরা চিকিৎসার জন্য এসব এলাকায় যাতায়াত করতে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এছাড়াও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা অতিরিক্ত খরচ, সময় ব্যয়সহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। রোগী ও তাদের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, বিশেষজ্ঞ এসব চিকিৎসক না থাকায় রোগীদের রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এতে করে আর্থিকভাবে লোকসান ও নানান সমস্যায় পড়তে হয় রোগী ও তাদের স্বজনদের। অথচ এসব রোগের চিকিৎসক যদি জেলা হাসপাতালেই থাকতেন তাহলে রোগী ও তাদের স্বজনরা ভোগান্তির শিকার হতো না।
ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. আ.খ.ম আসাদুজ্জামান বলেন, এসব শূন্য পদের তালিকা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে নেই চক্ষু ও নাক, কান, গলার কোন চিকিৎসক। এ ছাড়া আজ পর্যন্ত চর্ম, যৌন ও এলার্জি রোগের কোন চিকিৎসককে দেয়া হয়নি এই জেলা হাসপাতালে।