মঙ্গলবার ● ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় ভেঙে পড়া ব্রীজের স্থলে এলাকাবাসীর কাঁঠের সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ
গাইবান্ধায় ভেঙে পড়া ব্রীজের স্থলে এলাকাবাসীর কাঁঠের সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: ২০১৫ সালে বন্যার স্রোতে গাইান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌর সভার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার শাখা নদীর উপর নির্মিত রামডাকুয়া ব্রীজটি সম্পন্ন রুপে ভেঙে পড়ে। সেই থেকে চরাঞ্চলবাসি অতিকষ্ট করে যাতায়াত করে আসছে। দীর্ঘদিনেও ওই স্থানে ব্রীজ নির্মাণ না হওয়ায় জনদুর্ভোগ এরাতে চরাঞ্চলবাসি স্বেচ্ছাশ্রমে কাঁঠের সাঁকো নির্মাণ করছে। আসন্ন বন্যা মৌসুমে চরাঞ্চবাসির যাতে কষ্ট করতে না হয় সে লক্ষে এলাকবাসি সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০০৮ সালে তৎকালিন সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের খান নিজ অর্থায়নে ইঞ্জিনিয়ারিং প্লান ছাড়াই রামডাকুয়া খেয়াঘাটের উপর ৯৯ মিটার লম্বা ব্রীজটি নির্মাণ করে। নির্মাণের পর থেকে ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ঝুঁকি নিয়ে ব্রীজটির উপর দিয়ে উপজেলার প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন চলাচল করত। এছাড়া হাজারও স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ী প্রতিদিন উপজেলা শহরে আসা যাওয়া করছিল। ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ার পর জেলা পরিষদের অধিনে খেয়াঘাটের জন্য ইজারা দেয়া হয়। বছরের প্রায় ৮ মাস নৌকা দিয়ে পারাপার করতে হয় চরাঞ্চলবাসিকে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের প্রসূতি মা এবং গুরুতর অসুস্থ রোগিদের উপজেলা শহরের হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া চরাঞ্চরের উৎপাদিত পণ্য যথাসময়ে বাজারে নিয়ে আসা যাচ্ছে না।
পৌর সভার মেয়র আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, ব্রীজটি নির্মাণ না হওয়ায় জনগণ চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ব্রীজটি নির্মাণের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জোর তাগিদ দেয়া হচ্ছে। আপাতত এলাকাবাসি এবং পৌর সভার সহায়তায় রামডাকুয়া খেয়াঘাটে কাঁঠের সাঁকো নির্মাণ করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মুনছুর জানান, ব্রীজটির নির্মাণ কাজ অতিদ্রুত শুরু হবে। বর্তমানে ব্রীজটির দরপত্র মূল্যায়নে কাজ চলছে। এরপর ঠিকাদার নির্ধারণ পূর্বক কাজ শুরু হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানান, আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ব্রীজটি নির্মাণ হলে চরাঞ্চলবাসির সাথে উপজেলা পরিষদের যোগাযোগ সুগম হবে।