রবিবার ● ৩ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে আ’লীগের সম্পাদকের বিরুদ্ধে সভাপতির থানায় অভিযোগ
বিশ্বনাথে আ’লীগের সম্পাদকের বিরুদ্ধে সভাপতির থানায় অভিযোগ
মোঃ আবুল কাশেম,বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে খাজাঞ্চি ইউপি আ.লীগের সম্পাদক শংকর চন্দ্র ধরের বিরুদ্ধে একই ইউপির সভাপতি নূর মিয়া মেম্বার বাদি হয়ে রোববার বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ অভিযোগে আরও দুইজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ তারা হলেন-ভোলাগঞ্জ গ্রামের আবদুল মতলিবের ছেলে আবদুল গফুর ও কামরুজ্জামান৷
জানাগেছে, রোববার দুপুরে পূর্ব বিরোধদের জের ধরে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউপি আ.লীগের সভাপতি ও ভোলাগঞ্জ গ্রামের নূর মিয়ার সঙ্গে তার আপন ভাই গফুর মিয়ার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ এতে উভয় পক্ষের অনন্ত ১০জন আহত হন৷ সংর্ঘষের পর নূর মিয়া মেম্বার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷
থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগে নূর মিয়া উল্লেখ করেন, অভিযুক্তদের সঙ্গে জায়গা নিয়ে র্দীঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে৷ অভিযুক্ত শংকর চন্দ্র ধর একজন দলিল লেখক৷ সে বিভিন্ন লোকজনের জালনামধারীর মাধ্যমে দলিল রেজিষ্ট্রি করে থাকে৷ অপর দুই অভিযুক্ত আমার আপন ভাই৷ বর্তমানে বাদি খাজাঞ্চি ইউপির সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী৷ শংকর চন্দ্র ধর আমার ভাইদের কু-পরামর্শ দিয়ে তাহার পক্ষে নিয়ে এলাকায় আমার মান-সম্মানহানী করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে৷ রোববার সকাল ১০টায় বাদি বাড়ি থেকে বিশ্বনাথ বাজারে আসার পথে অভিযুক্ত শংকর চন্দ্র ধরের কু-পরামর্শে অন্য অভিযুক্তরা আমার স্ত্রী-সনত্মানদের কে অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ করে৷ এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা উত্তেজিত হইয়া লাঠি-সোটা দিয়ে বাদির স্ত্রী মাসুমা বেগম, ছেলে হাফিজ মাহবুবুর রহমান ও মেয়ে আমিরা বেগমকে এলোপাতি মারফিট করে৷ এতে তারা আহত হয়৷ পরে বাদি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিত্সা প্রদান করেন৷
এব্যাপারে খাজাঞ্চি ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মিয়া মেম্বার বলেন, শংকর চন্দ্র ধরের ইন্ধনে আমার স্ত্রী-সস্তানদের ওপর গফুর হামলা চালিয়েছে৷ শংকর চন্দ্র ধরকে প্রধান আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে তিনি জানান৷
খাজাঞ্চি ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শংকর চন্দ্র ধর বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট৷ এঘটনার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই৷
আবদুল গফুর বলে, নূর মিয়া প্রভাবকাটিয়ে আমার কাছে র্দীঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছে৷ আমাদের ওপর নূর মিয়ার লোকজন হামলা চালিয়ে আহত করেছে৷ নূর মিয়ার আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা৷