বৃহস্পতিবার ● ৭ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » ঈশ্বরদীতে প্রশাসনের ছত্র ছায়ায় চলছে অবৈধ ইটভাটা
ঈশ্বরদীতে প্রশাসনের ছত্র ছায়ায় চলছে অবৈধ ইটভাটা
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: ঈশ্বরদীর সাহাপুর ও লক্ষিকুন্ডাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আবাদি জমিতে চালানো হচ্ছে পঞ্চাশেরও অধিক অবৈধ ইটভাটা। অনুমোদন বিহিন এসব ভাটার মালিকরা কাষ্টম ও অন্যান্য প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কোটি কোটি পরিমাণ ইট উৎপাদন করছে । বিভিন্ন ইট ভাটাঁয় সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকার নির্ধারিত সাইজের চেয়ে ছোট করে ইট তৈরী করা হচ্ছে। ভাটাগলোতে দিন রাত কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ইটভাটা মালিকরা বলছেন, বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে চাঁদাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেই তারা এসব ভাটা চালাচ্ছেন। এছাড়াও কৃষি জমিতে গড়ে ওঠা ভাটা মালিকরা প্রশাসন কে ম্যানেজ করে নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের এই ব্যবসা। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি অনুমোদন ছাড়াই লোকালয় ও আবাদি জমির পাশে ইটভাটা স্থাপন করে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। ভাটার শত শত বালু, মাটি ও ইট বহনকারী বৈধ-অবৈধ গাড়ি চলাচলে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকায় নির্মিত গ্রামের সরকারী রাস্তা-ঘাট। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ,লোক দেখাতে ভাটায় কয়লার স্তূপ সামনে রেখে পেছন থেকে পোড়ানো হয় কাঠ। ইট ভাটায় ইট পোড়ানোর জন্য লাইন্সে লাগে এবং ১২০ ফুট কংক্রিটের স্থায়ী চিমনি স্থাপন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং বি.এস.টি আই এর লাইসেন্স সংগ্রহের সংবিধান থাকলেও ঈশ্বরদীর প্রায় আশিভাগ ইট ভাটার মালিকরা এসবের কিছুই তোয়াক্কা না করে কৃষি জমি মালিকদের জিম্মি করে কৃষি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে পঞ্চাশেরও অধিক ইটভাটা। পাশাপাশি ফসলী জমির মাটির উর্বতা শক্তি ও বিশাল বিশাল আমসহ অন্যান্য ফলনশীল ফলদ বাগানের ফলন একেবারে নষ্ট করে দিচ্ছে। এসব ইট ভাটায় ইট পোড়ানো (নিয়ন্ত্রন) আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের তিন কিমির মধ্যে ভাটা স্থাপন, এবং ইট পোড়ানোর ক্ষেত্রে ভাটায় কাঠ পোড়ানো সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ । তাছাড়া ইট পোড়ানোর জন্য ড্রাম সিট চিমনি ৭৫হাজার টাকা , কংক্রিটের তৈরি ১২০ ফুট চিমনির জন্য ১লাখ ৫০হাজার টাকা ভ্যাট দিতে হয়। কিন্তু ঈশ্বরদীর ইট ভাটা মালিকরা ঐ সকল টাকা পরিশোধ না করে জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের বেশ কিছু কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে প্রতি বছর সরকারী কর ফাঁকি দিয়ে তাদের ভাটা ব্যবসা জোর তালে চালিয়ে যাচ্ছে। ইট ভাটারনির্গত কালো ধোয়ার কারনে জমির ফসল, ফলদ বাগান নষ্টসহ মানব দেহের হাঁপানি, কাশি, চর্ম রোগসহ বিভিন্ন রোগ ব্যাধি বিস্তার লাভ করছে। তবে এ সকল ভাটা অচিরে বন্ধের জন্য এবং জনগনের সকল প্রকার ক্ষতি ও সরকারের রাজস্ব ফাকি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা এবং ভেজালমুক্ত দুদক কর্মকর্তাদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন,অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইট ভাটায় ইট উৎপাদনের বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে। কোন সচেতন নাগরিকের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে ভাল হয়। তবে আমাকে কোড না করলেই ভাল হয়।