শুক্রবার ● ৮ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » রাউজানে ছাদ-বাগানে সবুজের হাতছানি
রাউজানে ছাদ-বাগানে সবুজের হাতছানি
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী উদ্যোগে এক ঘন্টায় ৪ লাখ ৮৭ হাজার বৃক্ষরোপন কর্মসূচির অনুপ্রেরণায় ছাদ বাগান করেছেন রাউজানের রাজীব চৌধুরী রাজু। বিনাজুরি ইউনিয়নের কাগতিয়া গ্রামে ৭ হাজার বর্গফুট ছাদে দেশি-বিদেশী উন্নত জাতের নানা ফুল ও ফলের বাগান করেছেন তিনি। তাঁর ছাদ বাগানে ফলের মধ্যে রয়েছে আপেল, কমলা, সেরিফল, আম, জাম, নারিকেল, পেপে, আলু বোহারা, লেবু, বিভিন্ন প্রজাতের পেয়ারা, মোসাম্বি, মাল্টা, বড়ই, লিচু, ডালিম, জামরুলসহ অর্ধশত ফল। ফুলের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রংয়ের কাটা গোলাপ, সাজনা ডাটা, , পাতাবাহার,, হাসনাহেনা, গাদা, চায়না জিনিয়া, স্বর্ণতোয়া, সন্ধ্যা মালতি, রঙ্গন, নয়নতারাসহ শতাধিক প্রজাতির ফুল। সবজির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতের বেগুন, মচির, শাক, লাউ, তিত করলা, টমেটো ইত্যাদি। ২০১৭ সালের ২৫ শে জুলাই এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর উদ্যোগে সমগ্র রাউজানে এক ঘন্টায় ৪ লাখ ৮৭ হাজার গাছ লাগানো হয়। দেশে সাড়া জাগানো এ বৃক্ষরোপন কমূসূচিতে অংশগ্রহণ করেন রাজিব চৌধুরী রাজু। এ বৃক্ষরোপন কর্মসূচির অনুপ্রেরণায় তিনি প্রায় ৬/৭ লাখ টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলেছেন এক বিশাল ছাদ বাগান। ৭ হাজার বর্গফুট ছাদজুড়ে যেন সবুজের সমারোহ। এ সবুজের সমারোহ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেন রেজা। ২০১৮ সালের ২৩ মে ছাদ বাগান পরিদর্শন শেষে তিনি একাধিক ছবি সম্বলিত স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন রাজীবের বিষ্ময়কর ছাদ বাগান দেখে অভিভুত হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেন রেজা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ছাদ বাগান কৃষির একটি নতুন সংস্করণ। খাদ্য পুষ্টি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ছাদগুলোকে সর্বোচ্চ ব্যবহারের চেষ্টা করছি। তারই অংশ হিসেবে রাউজানে রাজীব চৌধুরীর বাগানসহ ৫২টি ছাদ বাগান রয়েছে। শহর অঞ্চলের সঙ্গে পাল্লাদিয়ে গ্রামাঞ্চলেও দিন দিন ছাদ বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে পরিবেশে যেমনি সুন্দর হচ্ছে, তেমনি নিজস্ব বাগানের ফল গুলো ফরমালিন মুক্ত স্বাদ গ্রহণ করতে পারছেন।
যদি গ্রামের অসংখ্যা সব ছাদে পরিকল্পিতভাবে ছাদ-বাগান করা হয় তবে গরমে সময় তাপমাত্রা অনেক অংশে পর্যন্ত কমানো সম্ভব হবে। এসব অব্যবহৃত ছাদে খুব সহজেই পরিকল্পিতভাবে ফুল, ফল ও শাক-সবজির ও নিজের সখের পারিবারিক বাগান তৈরি করা সম্ভব। এর দ্বারা পারিবারিক ফুল, ফল ও শাক-সবজির চাহিদা মিটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখারও একটি বড় সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও নিজস্ব ছাদ-বাগান করে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির চাহিদা পূরণে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে।