সোমবার ● ৪ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » সারাদেশে উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প অনূভূত : ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা
সারাদেশে উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প অনূভূত : ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা
সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম :: সারাদেশে উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প অনূভূত বাংলাশের সময় ৫.০৭মিনিটে রিখটার স্কেলে এ কম্পণের মাত্রা ছিল ৬.৮ । এর উৎপত্তিস্থল ভারতের মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইমপাল থেকে ৩৩ কি.মি. পূর্ব-উত্তর-পূর্বে। প্রাথমিকভাবে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিকাল সার্ভে (ইউএসজিএস)।
এদিকে ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে সারাদেশের ঘুমন্ত মানুষ। রাজধানীবাসীর বেশিরভাগ বাসার ছাদে কিংবা রাস্তায় নেমে যায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে। ঢাকা থেকে ভূমিকম্প উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৩৫১ কিলোমিটার। পূর্ব ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায়। উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৩৫ কিলোমিটার গভীরে।
এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের কারণে সারাদেশের মানুষের মধ্যে বড় ধরণের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এখন পযর্ন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঘুমন্ত লোকজন বুঝতে পেরে আতংকিত হয়ে রাস্তায় নেমে আসে।
শীতের ভোরে ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে ঘুম ভাঙার পর অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন। রাজধানীর জুড়াইনে ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে মারা গেছেন এক ব্যক্তি। রাজধানীতে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সুস্মিতা শাহরীন বলেন, কাঁপুনিতে ঘুম ভাঙার পর তিনি ভূমিকম্পের বিষয়টি টের পান। তখনও ঘরের সবকিছু দুলছিল।
“বাবা-মায়ের সঙ্গে আমি দ্রুত নিচে নেমে আসি। এটা খুবই জোরালো ছিল।”
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অধিকাংশ রাজ্যে চার থেকে পাঁচ সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
তবে ভারতের ওই অঞ্চলেও তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে আঞ্চলিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা শরৎ দাস জানান।
ইন্ডিয়ান ও ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে প্রায়ই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সিলেট অঞ্চল দিয়ে যাওয়া ডাউকি ফল্টের কারণে বাংলাদেশও বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে আছে বলে ভূতত্ত্ববিদরা সতর্ক করে আসছেন। এদিকে রাঙামাটি,বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় তেমন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতিকর সংবাদ পাওয়া যাযনি।