শনিবার ● ৯ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » আত্রাইয়ে চাঞ্চল্যকর জুলেখা হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন
আত্রাইয়ে চাঞ্চল্যকর জুলেখা হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন
আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: নওগাঁর আত্রাইয়ে চাঞ্চল্যকর জুলেখা হত্যাকান্ডের রহস্য অবশেষে উন্মোচিত হয়েছে।
হত্যাকান্ডের নেপথ্যে রয়েছে সাবেক স্বামী। থানা পুলিশের সঠিক পদক্ষেপের কারণে লোমহর্ষক এ হত্যাকান্ডের মূলরহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোবারক হোসেন জানান, গত ২০ ডিসেম্বর উপজেলার বড়কালিকাপুর তিন নাম্বার সুইচ গেটের নিচে জুলেখা খাতুনকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর থেকেই পুলিশ মোবাইল নাম্বার টাকিং ও লোকেশনের মাধ্যমে তদন্ত করতে মাঠে নামে। গত সোমবার ঘাতক বেলাল হোসেনকে তিন দিনের রিমান্ডে থানায় নিয়ে আসে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ তিন দিনের রিমান্ডে ঘাতক বেলাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে একপর্যায়ে সে নিজে এই লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে জবান বন্দি দেয়।
ঘাতক বেলাল হোসেনের দেয়া জবান বন্দি থেকে জানা যায়, গত ২০১৭ সালের ২২ জুলাই নওগাঁ সদর থানার গোপাই গ্রামের মানিক প্রামানিকের মেয়ে জুলেখা খাতুন (৩০) এর সাথে পার্শ্ববর্তী মান্দা উপজেলার চকবালু গ্রামের জনাব আলী মন্ডলের ছেলে বেলাল হোসেনের বিয়ে হয়। সংসার জীবনের কয়েক কছর অতিবাহিত হওয়ার পর তাদের ডিভোর্স হয়। কিন্তু তারপরেও মোবাইলে সম্পর্ক বজায় রাখে ঘাতক স্বামী বেলাল হোসেন। তারই ধারাবাহিকতায় সে গত ২০ ডিসেম্বর মোবাইলে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ঢাকা গার্মেন্টস থেকে জুলেখা খাতুনকে নিয়ে আসে। জুলেখা নওগাঁ পৌছালে তাকে নিয়ে রাত ১০টার দিকে সে আত্রাই উপজেলার বড়কালিকাপুর তিন নাম্বার সুইচ গেটে নিয়ে এসে তার সাথে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে চাই। এতে জুলেখা আবারও বিয়ে না করে দৈহিক মেলামেশায় বাঁধা সৃষ্টি করে। বাঁধা সৃষ্টির এক পর্যায়ে ঘাতক বেলাল হোসেন ধাক্কা দিয়ে জুলেখা খাতুনকে সুইচ গেটের নিচে ডোবাই ফেলে দেয়। পরে তাকে ধারালো চাকু দিয়ে জবাই করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
জয়পুরহাট চিনিকলের বিষাক্ত গাদে নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর পানি দূষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
নওগাঁ প্রতিনিধি :: জয়পুরহাট চিনিকলের বিষাক্ত গাদ ছোট যমুনা নদীতে ফেলার কারণে জীববৈচত্র্য ধ্বংসের প্রতিবাদের নওগাঁয় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার শহরের লিটল ব্রীজের মোড়ে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন একুশে পরিষদ ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। এ সময় সংগঠনের সভাপতি অ্যাড. ডিএম আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ওহিদুর রহমান, সাধারন সম্পাদক এমএম রাসেল, সদস্য গুলশান আরা, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কায়েস উদ্দিনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, জয়পুরহাট চিনিকল স্থাপনের পর থেকে প্রতি বছর চিনিকলের বর্জ্য ছোট যমুনা নদীতে ফেলা হয়। জয়পুরহাট অংশে ছোট যমুনা নদীতে বিষাক্ত গাদ ফেলায় উজান থেকে বেয়ে ভাটার দিকে নওগাঁ ছোট যমুনা নদীর পানির সাথে মিশে। ফলে গাদের বিষাক্ত বর্জ্য পানির সাথে মিশে পানির রং বিবর্ণ ধারন করে দূষণের ফলে জলজপ্রাণী ও মাছ মারা যায়। এছাড়া নদীর দু’পাড়ে বসবাস করা হাজারো মানুষ নদীতে গোসলসহ কৃষিকাজে ব্যবহার করা অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এসব প্রতিবাদে স্থানীয় সামজিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁ নদী বাঁচানোর দাবীতে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভাসহ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়েছিল। ফলে বাধ্য হয়ে জয়পুরহাট চিনিকলের বিষাক্ত গাদ নদীতে ফেলা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আবারও চিনিকলের বিষাক্ত গাদ ছোট যমুনা নদীতে ফেলায় জলজপ্রাণী ও মাছ মারা যাচ্ছে। বিষয়টি দেখার জন্য দ্রুত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বক্তারা।