সোমবার ● ১১ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাইবান্ধায় ৮ ভূয়া অডিট অফিসার আটক
গাইবান্ধায় ৮ ভূয়া অডিট অফিসার আটক
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভূয়া অডিট অফিসার সেজে ভাড়া করা মাইক্রোতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লোগো লাগিয়ে প্রতারণাকালে সাংবাদিক ও দুই নারীসহ প্রতারক চক্রের আট সদস্যকে ১০ মার্চ রবিবার রাতে আটক করে পুলিশ। গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের চকবরুল কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতারণাকালে এই প্রতারক চক্রকে পুলিশ আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নকল সাটিফিকেটসহ বেশ কিছু ভুয়া পরিচয়পত্র জব্দ করা হয় এবং মাইক্রোসহ তাদের থানা নিয়ে আসা হয়। প্রতারণার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- সদর উপজেলার ব্রীজরোড কালিবাড়ি পাড়ার নারু গোপাল দাসের ছেলে রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গণ আলোর সাংবাদিক তপন চন্দ্র দাস (৩৬), বাদিয়াখালী ইউনিয়নের চকবরুল গ্রামের সুকুমার চন্দ্র শীলের ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র শীল (২৬), পিয়ারাপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে আতিকুর রহমান (৩৫), দক্ষিণ ধানঘড়া এলাকার চান মিয়ার ছেলে রায়হান সরকার (২৫), কিশামত গোপালপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী কাকলি খাতুন (২৪), সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান তালুকদারের ছেলে সারোয়ার হোসেন (২৫), পলাশবাড়ী উপজেলার তালুকজামিরা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে রুবেল মিয়া (২১) ও ফকিরহাট গ্রামের লিমন মিয়ার স্ত্রী মুর্শিদা আক্তার রুমি (২৩)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লোগো সম্বলিত একটি মাইক্রোবাসে দুপুরে সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের চকবরুল কমিউনিটি ক্লিনিকে যায় প্রতারক চক্রের এ ৮ সদস্য। এসময় তারা অডিট অফিসার পরিচয় দিয়ে ক্লিনিক পরিচালনার বিভিন্ন কাগজপত্র দেখতে চায়। একপর্যায়ে তারা ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তাদের আচরণ ও কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি সজিব মিয়া এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রেখে পুলিশে খবর দিলে তাদের থানায় নিয়ে যায়। এর আগেও গত সপ্তাহে সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের আরেকটি কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়েও একই ধরণের কর্মকান্ড চালিয়ে টাকা দাবির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
গাইবান্ধায় হিরোইন ও ইয়াবাসহ আটক-১
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: রবিবার ১০ মার্চ মধ্য রাতে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভাস্থ জেপি ফিলিং স্টেশনের উত্তর পাশ্ব হতে পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী আসামি জহুরুল (২০) কে ৩০০ গ্রাম হিরোইন ও ৩০৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আটক করে। ঐ সময় তার সংগে থাকা সহযোগীরা পালিয়ে যায়। জহুরুল উপজেলার চক গোপিনাথপুর গ্রামের মমিরুল ইসলামের ছেলে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসান নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধারকৃত হিরোইন ও ইয়াবার মুল্য ১৫ লক্ষ ৯১ হাজার ৫ শত টাকা। আসামি জহুরুলের বিরুদ্ধে সোনাতলা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরো একটি মাদক মামলা আছে। এ বিষয়ে আসামির বিরুদ্ধে থানায় একটি মাদক মামলা রুজু হয়েছে।