বুধবার ● ১৩ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » বাহা পরবে মাতলো সাঁওতাল পল্লী
বাহা পরবে মাতলো সাঁওতাল পল্লী
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল সম্প্রদায় নিজস্ব ঐতিহ্যে নেচে-গেয়ে আনন্দের সাথে বরণ করলেন ঋতুরাজ বসন্তকে। ১২ মার্চ মঙ্গলবার নিজস্ব কৃষ্টি অনুযায়ি এই বাহা পরব আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করলো গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লী বাগদা বাজারের কাটাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাঠে সাঁওতালরা। বাহা পরব উদযাপন কমিটি ও অবলম্বনের আয়োজনে উৎসবে ইউএনডিপি-হিউম্যান রাইটস্ প্রোগ্রাম পৃষ্ঠপোষকতা করে।
উলে্লখ্য, আদিবাসী সাঁওতালরা বসন্তকে বরণ করে নেয় তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য দিয়ে। এসময় সাঁওতাল তরুনীরা লাল ফুল তাদের খোঁপায় গেঁথে আনন্দে নাচে-গানে মেতে ওঠে। সাঁওতাল গ্রামে গ্রামে চলে আনন্দ উৎসব। আনন্দে বিভোর হয়ে মাদলের তালে তালে গান গেয়ে নাচতে থাকে তারা। আর সেই আনন্দ-উৎসবের নাম ‘‘বাহা পরব’’। বাহা অর্থ ফুল। তাই বাংলায় বাহা পরবকে ‘‘ফুল উৎসব’’ বলা হয়। উত্তরাঞ্চলে সমতলে বসবাসকারী আদিবাসী জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে উড়াও, মুন্ডা, মালো, মাহাতো, মালপাহাড়ী, রাজওয়ারসীসহ মোট ৩৮টি ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠী এই বাহা উৎসব পালন করে থাকে। অনুষ্ঠান শেষে ভোজেরও আয়োজন করা হয়।
বাহা পরবে স্থানীয় আদিবাসী শিল্পীদের পাশাপাশি আমন্ত্রিত সাঁওতাল সাংস্কৃতিক দলের সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে। এতে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্কৃতিক দল অংশগ্রহণ করে। দীর্ঘদিন পর এ ধরণের উৎসবের সুযোগ পেয়ে সাঁওতালরা সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এ উৎসবে মত্ত্ব থাকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান, ইউএনডিপি হিউম্যান রাইটস প্রোগ্রামের মাইনরিটি এক্সপার্ট শংকর পাল, গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, গাইবান্ধা জেলা উদীচীর সভাপতি অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, এনডিএফ এর নির্বাহী পরিচালক ভিক্টর লাকরা, পারগানা পরিষদের সভাপতি নরেন বাস্কে, আদিবাসী গবেষক কেরিনা হাসদা, প্রিসিলা মুরমু, বুধরাই টুডু, সুফল হেমব্রম প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন বাহা পরব উদযাপন কমিটি আহবায়ক ফিলিমন বাস্কে।
গাইবান্ধায় সাংবাদিকদের সাথে সনাকের মতবিনিময় সভা
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) গাইবান্ধার উদ্যোগে জেলার সাংবাদিকদের সাথে স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে মঙ্গলবার এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সনাকের সভাপতি অধ্যক্ষ জহুরুল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সনাকের সদস্য ডাঃ নুরুজ্জামান আহমেদ, উপাধ্যক্ষ মাজহার-উল মান্নান ও সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবু জাফর সাবু, সৈয়দ নুরুল আলম জাহাঙ্গীর, অমিতাভ দাশ হিমুন, দীপক কুমার পাল, ইদ্রিসউজ্জামান মোনা, সিদ্দিক আলম দয়াল, আসাদুজ্জামান মামুন, আরিফুল ইসলাম বাবু, আফরোজা লুনা, রিক্তু প্রসাদ, সামিউল হক শাহীন, এসএম বিপ্লব প্রমুখ। এছাড়া টিআইবির এরিয়া ম্যানেজার মোর্শেদ আলম সনাক গাইবান্ধার বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভার মুক্ত আলোচনায় সনাক ও সাংবাদিকদের যৌথ সহযোগিতার ক্ষেত্রসহ স্থানীয় পর্যায়ের দুর্নীতি ক্ষেত্র চিহ্নিত করণ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে করণীয়সহ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা উন্নয়ন, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়ন, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও স্থানীয় জনগণের নানা সমস্যা সংকট এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
শাস্তির দাবিতে এলজিইডির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মানববন্ধন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জসিম উদ্দিনের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার গাইবান্ধা এলজিইডির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে পলাশবাড়ি সড়কের সুখনগর এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আব্দুর রহিম, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আহসান কবির, উপজেলা প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী মুনছুর আলী, উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা প্রকৌশলী ছাবের আলী, উপজেলা প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম, মিজানুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তারা হবিগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জসিম উদ্দিনের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে।
গাইবান্ধায় ট্রেনের নিচে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্লাবন নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার রাতে গাইবান্ধা রেল স্টেশনের দক্ষিণে আউট সিগন্যালের কাছে ঢাকাগামি রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে সে আত্মহত্যা করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। প্লাবনের পিতা শফিকুল ইসলাম এবং তার বাড়ি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট গ্রামে। তার পিতা-মাতা শহরের খানকাশরিফ এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে। তার আত্মহত্যার কোন কারণ জানা যায়নি।