শনিবার ● ১৬ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » রাজশাহীতে প্রতিবন্ধী ছাত্রী অপহরণের ৪ দিন পরও উদ্ধার হয়নি
রাজশাহীতে প্রতিবন্ধী ছাত্রী অপহরণের ৪ দিন পরও উদ্ধার হয়নি
রাজশাহী প্রতিনিধি :: রাজশাহী নগরীতে দশম শ্রেণীর প্রতিবন্ধী ছাত্রী (১৪) কে অপহরণ করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা । পরে প্রতিবন্ধী ছাত্রীর মা কে ফোন দিয়ে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করেছে। ৪ দিন অতিবাহিত হয়ার পরও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
গত সোমবার দুপুর দুইটার দিকে নগরীর খড়খড়ি বাইপাস মোড় সংলগ্ন প্রত্যাশা কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে বলে ওই ছাত্রীর পরিবারের দাবি।
এ বিষয়ে গত সোমবার রাত ১০ টার সময় ওই কিশোরীর পিতা মোঃ রেজাউল করিম বাদি হয়ে নগরীর মতিহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ।
অভিযোগ ও পরিবার সুত্রে জানা যায় গত সোমবার দুপুর দুইটার দিকে প্রতিবন্ধী কিশোরী নগরীর খড়খড়ি বাইপাস মোড়ে অবস্থিত প্রত্যাশা কোচিং সেন্টারে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বের হয়।
কোচিং শেষে দৈনিক বিকাল ৫ টার মধ্যে বাসায় ফিরে অসে । কিন্তু সময় মতো বাসায় না আসায়, কিশোরির বড় ভাই জীবন ওই কোচিং সেন্টারে খোঁজ করতে যায়।
সেখানে শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানতে পারে কিশোরী কোচিং’এ প্রাইভেট পড়তে অসেনি । সেই সাথে শুরু হয় কিশোরীর খোঁজ খুঁজি, পরে সন্ধা ৭ টা চল্লিশ মিনিটে ০১৯৬২-৫১৫৩৬২ নাম্বার থেকে কিশোরীর মা জলি বেগমের ০১৯৫৯-০৭৯৮৮৪ নাম্বারে ফোন আসে।
এ সময় ফোন রিসভ করলে অপর পাস থেকে বলা হয় আপনার মেয়েকে নিয়ে গেলাম । দুই লক্ষ টাকা রেডি করে, আমার নাম্বারে ফোন দিয়েন । এ কথা শুনে কিশোরীর মা অতংকিত হয়ে পরে । বিষয়টি তার স্বামী রেজাউল করিম কে জানালে তিনি মতিহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহাদত হোসেন বলেন,আমি অফিসের কাজে বাইরে আছি থানায় এসে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবো।
নতুন রাজশাহী তৈরি করে রেখে যেতে চাই : রাসিক মেয়র লিটন
রাজশাহী প্রতিনিধি :: রাজশাহী সিটি কর্পোশেনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহীকে কর্মচঞ্চল, উন্নত, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে চলছে। এই মেয়াদে সার্বিক দিক দিয়ে নতুন রাজশাহী তৈরি করে রেখে যেতে চাই। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ঝকঝকে-তকতকে মহানগরী গড়তে সবার সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করছি।
আজ শনিবার দুপুরে নগরভবনের এনেক্স ভবন সিটিহল কক্ষে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে নানাধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরিচ্ছন্ন ও মশা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম করা হয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসূমের আগেই সব ওয়ার্ডে ড্রেনের কাদামাটি অপসারণ ও পরিস্কার কার্যক্রম জোরদারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উন্নত রাজশাহীর গড়ার আবারো প্রত্যয় করে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে চাকরি জন্য হাহাকার। এই অবস্থা পাল্টাতে চাই। সরকার ইতোমধ্যে তিনটি শিল্প অঞ্চল অনুমোদন দিয়েছে। এগুলো চালু হলে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক নদীবন্দর গড়ে তুলতে চান। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বিনিয়োগে পদ্মা নদীতে ড্রেজিং করার পরিকল্পনাও রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এখানে আন্তর্জাতিক নদীবন্দর হলে ভারত থেকে কাঁচামাল আসবে, স্থানীয়ভাবে আমরা পণ্য উৎপাদন করে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করতে পারবো।
ওয়ার্ড সচিবদের আরো দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সিটি কর্পোরেশনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ভালো কাজ করবেন, তাদের পুরস্কৃত করা হবে। ছবিসহ নাম-পরিচয় বোর্ডে উপস্থাপনের প্রস্তাব এসেছে। সেটিও করা হবে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্যানেল মেয়র-২ ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, প্যানেল মেয়র-৩ ও ১নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর তাহেরা বেগম মিলি, ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম পিন্টু, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাওগাতুল আলম, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক। মতবিনিময় সভায় পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুপারভাইজার ও ওয়ার্ড সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন।