রবিবার ● ১৭ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » রাস্তা দখল করে অটোরিক্সা ষ্টেশন
রাস্তা দখল করে অটোরিক্সা ষ্টেশন
চাটমোহর প্রতিনিধি :: পাবনার চাটমোহরে যানজটের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শহরের বেশিরভাগ রাস্তাজুড়ে লেগে থাকে যানজট। সরকারি রাস্তা দখল করে বিভিন্ন যানবাহন স্ট্যান্ড বানানো, অবৈধ যানবাহনের লাগামহীন চলাচল, রাস্তার ওপর যত্রতত্র বড় বড় ট্রাক দাঁড় করিয়ে ব্যবসায়ীদের মালামাল লোড আনলোড করা এবং ফুটপাত দখল করে রাখা যানজটের মুল কারণ।
আর এতে করে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। অথচ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পৌরসভা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের মধ্যে ভারী যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও কেউ মানছেন না আইন।
প্রতিমাসে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে উপজেলায় মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় যানজট থেকে মুক্তি পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বারবার অনুরোধ করা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেন না। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
দেখা গেছে, পৌর শহরের জারদ্রিস মোড় এলাকায় চাটমোহর-মান্নাননগর সড়কের ওপর সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, অটোবোরাক ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। প্রতিনিয়ত সেখান থেকে যাত্রী তুলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করছে যানবাহনগুলো। সবসময় সেখানে লেগে থাকে যানজট।
একই অবস্থা পৌর শহরের বাসষ্ট্যান্ড, স্টার হোটেল মোড়, সরকারী ডিগ্রি কলেজ গেট, হাসপাতাল গেট, পুরাতন ও নতুন কৃষি ব্যাংক এলাকায়। আর পুরো শহর জুড়ে অবৈধভাবে চালানো হচ্ছে ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান, ইঞ্জিন চালিত নসিমন-করিমন ও পাওয়ার ট্রলি। এদের দাপটে এবং লাগামহীন চলাফেরার কারণে প্রায়শই ঘটছে দূর্ঘটনা।
এছাড়া হাসপাতালে প্রবেশ মুখে ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানো হয়। মাঝে মধ্যেই রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘক্ষণ। নানা বাধা বিপত্তি পেড়িয়ে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে হয়।
এদিকে পুরাতন বাজার ও নতুন বাজারের বেশ কিছু স্পটে যেমন- থানা মোড়, পুরাতন ও নতুন কৃষি ব্যাংক, খেয়াঘাট, অর্পন সিনেমা হলের সামনে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্রেক্স ভবনের সামনেসহ বেশ কিছু এলাকায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বড় বড় ট্রাক দাঁড় করিয়ে রেখে মালামাল লোড-আনলোড করে থাকেন।
এতে হাসপাতাল, উপজেলা পরিষদ, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতকারী মানুষকে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা। যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং এসব অবৈধযান বন্ধে প্রতিমাসে উপজেলা মাসিক মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও আইনের প্রয়োগ না থাকায় বেড়ে চলেছে মানুষের দুর্ভোগ। পৌরবাসী যানজট থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে ১৭ মার্চ রবিবার সকাল ১১ টার সময় জানতে চাইলে চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেখ নাসীর উদ্দিন বলেন, ‘যেসব যানবাহনের বৈধতা নেই সেগুলোকে কি মামলা দেবো বলেন ? আমরা এসব বন্ধ করে দিলে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। আর দিনের বেলায় শহরে বড় বড় গাড়ি ঢোকানোর নিয়ম নেই। এরআগে বেশ কিছু গাড়ি আটক করে মামলা দিয়েছি।’
চাটমোহর পৌরসভার মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে একটু ব্যস্ত আছি। নির্বাচনের পর প্রশাসনের সাথে বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’