মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে পার্বত্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত
রাঙামাটিতে পার্বত্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত
ষ্টাফ রিপোর্টার :: রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চতুর্থ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত ) মো. আনোয়ার-উল হক।
বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ( সন্তু লারমা), রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায়, খাগড়াছড়ির মং সার্কেল চিফ সাচিং প্রু চৌধুরী, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, ভুমি কমিশনের সচিব মো. আলী মনসুর ও রেজিষ্টার সাহাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চলমান কার্যক্রম সংক্রান্ত আলোচনা চলে। বৈঠক শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ার-উল হক সংক্ষিপ্ত ব্রিপিংয়ে বলেন, ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা এগুলো যাচাই-বাছাই করব। উদ্বাস্তুদের মধ্যে তাদের ভূমি ফেরত দিয়েই ভূমি কমিশনের কাজ শুরু করা হবে। বিধিমালা প্রণয়নের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। হাতে পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
এ ছাড়া রাঙামাটি ও বান্দরবানে দ্রুতই ভূমি কমিশনের দুটি শাখা অফিস খোলা হবে। শাখা অফিসের জন্য কাজ প্রক্রিয়াধীন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা প্রকাশ সন্তু লারমা ভূমি কমিশনের প্রবিধান দ্রুত প্রণয়নের দাবি জানান। তিনি বলেন, বৈঠকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কাজ বসে নেই। সব কাজ প্রকিয়াধীন। কমিশনের কাজ আরও ত্বরান্বিত করা দরকার। প্রবিধান প্রণয়ন না হলে কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়া যাবে না। এ ছাড়া ভূমি কমিশনকে দ্রুত কার্যকর করতে লোকবলও নিয়োগ দিতে হবে। এটার দায়িত্ব সরকারের। এটা প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কাজ এগিয়ে নিতে পারব না।
চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেন, ভূমি কমিশনের একটি খসড়া বিধিমালা সরকারের কাছে বিবেচনায় রয়েছে। বিধিমালা প্রণয়নের জন্য আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানয়েছি। এটি বাস্তবায়ন হলে পার্বত্যবাসী কাজের অগ্রগতি দেখতে পাবে। আশা রাখছি আইনটি দ্রুত পাশ করা হবে।