মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধার ৫ উপজেলায় ২ বিদ্রোহী, ৩ আ’লীগ বিজয়ী
গাইবান্ধার ৫ উপজেলায় ২ বিদ্রোহী, ৩ আ’লীগ বিজয়ী
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাইবান্ধা সদরে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সোরোয়ার কবীর (ঘোড়া) ৩৯ হাজার ৫শ ৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী পিয়ারুল ইসলাম (নৌকা) ২৯ হাজার ৫শ ৬ ভোট পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নুর এ হাবীব (তালা) ২৬ হাজার ৯ শ ১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি রনজিৎ বক্সী সূর্য্য (উড়োজাহাজ) ২১ হাজার ২শ ৭ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তাসলিমা সুলতানা স্মৃতি (ফুটবল) ২৮ হাজার ৩ শ ৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আরিফা আক্তার (কলস) ১৭ হাজার ৯ শ ৮৩ ভোট পেয়েছেন।
পলাশবাড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী এ কে এম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ (নৌকা) ৫৬হাজার ৯শ ৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী মমতাজ উদ্দিন (জাপা) ১০ হাজার ৩শ ৮০ ভোট পেয়েছে। ১৪ হাজার ১শ ১৩ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন এ এস এম রফিকুল ইসলাম মন্ডল (টিউবওয়েল) তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দি আবু রেজা মো.ফিরোজ কালাম চৌধুরী (চশমা) তিনি ভোট পেয়েছেন ১২ হাজার ৮শ। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আনোয়ারা বেগম (কলস) ২১ হাজার ৭শ ২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী সাহারিয়ার খাঁন বিল্পব (নৌকা) ৩২ হাজার ৭শ ৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আবু সাআদাত শাহ্ ফজলুল হক ৩০ হাজার ৫শ ৬০ ভোট পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে এ.টি.এম দিদারুল ইসলাম (চশমা) ৩৮ হাজার ৫ শ ৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি মোন্তেজার রহমান (তালা) ১৯ হাজার ৬শ ৫০ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইসরাত জাহান স্মৃতি (কলস) ৫৮ হাজার ১ শ ৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি রেহেনা বেগম (হাঁস) ২৪ হাজার ৬ শ ৭৯ ভোট পেয়েছেন।
সাঘাটা উপজেলা স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (ঘোড়া) ৪৫ হাজার ৯শ ৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী এস.এম সামশীল আরেফিন (নৌকা) ৪০ হাজার ৭শ ৯৯ ভোট পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সহিদুল ইসলাম বিল্পব (তালা) ২৫ হাজার ৮ শ ৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি জাহাঙ্গীর আলম (উড়োজাহাজ) ১৪ হাজার ১শ ৩৯ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পারভীন আক্তার (বৈদ্যুতিক পাখা) ২৯ হাজার ৮ শ ২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি রওশন আরা বেগম (প্রজাপতি) ১৬ হাজার ৭ শ ৯৪ ভোট পেয়েছেন।
ফুলছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী জি এম সেলিম পারভেজ (নৌকা) ৩৪ হাজার ৮শ ৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আবু সাঈদ (মোটর সাইকেল) ১৩ হাজার ৯শ ৮৯ ভোট পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে হুকুম আলী (চশমা) ১৪ হাজার ২ শ ৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি জাহাঙ্গীর আলম (মাইক) ১৪ হাজার ২শ ১৬ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আঞ্জুমনোয়ারা বেগম (কলস) ১৭ হাজার ৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি শাখিয়া পারভিন (প্রজাপতি) ১৬ হাজার ৯ শ ৩২ ভোট পেয়েছেন।
তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দি রিক্তা বেগম (ফুটবল) তিনি ১৬ হাজার ৫শ ২৯ ভোট পেয়েছেন। জেলা রিটানিং অফিসার তার অফিসে বে-সরকারি ভাবে নির্বাচনের তাদের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করেন।
গাইবান্ধায় ৩৯ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
গাইবান্ধা :: পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সোমবার অনুষ্ঠিত ভোটে মোট প্রদত্ত ভোটের আটভাগের একভাগের কম ভোট পাওয়ায় গাইবান্ধার ৫ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
জেলা সার্ভার স্টেশন সুত্রে জানা গেছে, এবার চেয়ারম্যান পদে ২০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন ২৬ জন। নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পেলে তার জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। সে অনুযায়ী সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শফিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান পদে এ টি এম শামছুল হুদা ও সেলিম মিয়া স্বপন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রওশন আরা মুক্তি, মোর্শেদা বেগম ও রশিদা বেগম, সাদুল্লাপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতার বানু লাকি ও মতিয়ার রহমান সরকার (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে এনামুল হক মন্ডল, আল মামুন আজমী, আহসান হাবীব নাহিদ, কামরুল ইসলাম , পলাশবাড়ীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বজলার রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে শেখ শামসুজ্জোহা আহম্মেদ, আবুল কালাম আজাদ, মমিরুল ইসলাম, হযরত আলী দুলাল, কে এম আনিছুর রহমান ও আশরাফুল ইসলাম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোহিনুর আক্তার বানু ও শ্যামলী বেগম, ফুলছড়িতে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ও সৈয়দ মো. বেলাল হোসেন ইউসুফ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে শহীদুল ইসলাম ও আবুল কালাম আজাদ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবিনা ইয়াসমিন সম্পা, সাঘাটায় চেয়ারম্যান পদে জাতীয় পার্টির এ কে এম মমিতুল হক সরকার ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মাছুদুর রহমান প্রধান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাকির হোসেন, রনজিৎ রায়, লিয়াকত আলী খন্দকার, এ টি এম সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, শাহ আলম ও আব্দুল খালেক ভোলা এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজনীন বেগম, সাহানাজ খাতুন, তাজমিন বেগম, লতিফা বেগম ও জড়ি বেগম।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, নির্বাচনের আগে প্রত্যেক প্রার্থীর জামানত হিসেবে জমা থাকে ১০ হাজার টাকা করে। মোট প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশের নিচে এক ভোট কম পেলেই তার জামানতের টাকা নিয়মানুযায়ীই বাজেয়াপ্ত হয়।