বুধবার ● ২০ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান
গাইবান্ধায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: বিদ্যালয় ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় দেড় বছর পরও খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করতে হচ্ছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানী ইউনিয়নের কলমু এফএনসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। বৃষ্টি হলেই বন্ধ হয় তাদের পাঠদান।
বিদ্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ১৯৪৫ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হয় ১৯৭৩ সালে। প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকায় ১৫৪ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাতে হয় দু’জন শিক্ষককে। গো-ঘাট গ্রামে স্থাপিত বিদ্যালয় ভবনটি ২০১৭ সালের জুলাই মাসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তারপর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে ওই গ্রামেরই কামারজানী উপ-স্বাস্থ কেন্দ্রের মাঠে খোলা আকাশের নিচে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের তাপ থেকে রক্ষা পেতে শিক্ষার্থীদেরও বসার স্থান পরিবর্তন করতে হয়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, একসাথে অনেকজন ছাত্রছাত্রী পাশাপাশি বসে উচ্চ শব্দে পড়ার কারনে পাঠগ্রহনে মনোযোগ নষ্ট হয়। মাটিতে ত্রিপল বিছিয়ে বসতে ও লিখতে সমস্যা হচ্ছে। রোদে গরম লাগছে। ফলে পড়ায় মনোযোগী হতে পারছে না তারা। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সামাজিক উন্নয়ন পদক্ষেপের নির্বাহী পরিচালক সাদ্দাম হোসেন পবন বলেন, বিদ্যালয়টির একটি টিনশেড ঘর তৈরির জন্য এক বছর আগে তিন লাখ ৪২ হাজার টাকা সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হলেও এখনও অর্ধেক কাজই সম্পন্ন হয়নি। যে কাজ করা হয়েছে তা কোনক্রমেই এক লাখ টাকার বেশি হবে না। বাকী কাজ সম্পন্ন করতে অবহেলা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি সফিউল ইসলাম বলেন, যে টাকা ও টিন বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা দিয়ে জমিতে বালু ভরাট করে একটি টিনশেড ঘর তোলা হয়েছে। দরজা-জানালা তৈরি করতে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি মেঝে পাকা করে দুই সপ্তাহের মধ্যেই নতুন টিনশেড ঘরে কার্যক্রম চালু করতে পারবো।
কলমু বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল বলেন, খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এতে করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কম থাকে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জে ট্রাক চাপায় স্কুলছাত্রী নিহত
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে উপজেলার ছাইতনতলা বাজারের শাখামারা ব্রীজ এলাকায় আজ বুধবার সকালে ট্রাকচাপায় সুমি আকতার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী নিহত ও শাহানাজ আকতার (১৬) নামে আরও এক ছাত্রী আহত হয়েছে। নিহত সুমি ওই উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভাদ্র গ্রামের আব্দুল গণির মেয়ে এবং স্থানীয় করুনাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। আহত শাহানাজ স্থানীয় কাটগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে সুমি ও শাহনাজ বাইসাইকেলে চড়ে ছাইতানতলা বাজারে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল। তারা শাখামারা ব্রীজ এলাকায় পৌঁছলে বিপরীতদিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাদেরকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সুমি নিহত ও শাহনাজ আহত হয়। শাহনাজকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গাইবান্ধার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
গাইবান্ধা :: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক আজ বুধবার বিকেলে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার যমুনা নদী ভাঙন কবলিত গণকবর এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি জনগণকে আশ্বস্ত করেন যে, ভাঙন কবলিত এলাকা রক্ষায় সরকার সবধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকায় ৩শ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিরক্ষামুলক কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা-পরিচালক মাহফুজার রহমান প্রমুখ।
এর আগে তিনি কুড়িগ্রাম হতে নৌ-পথে স্পিডবোট যোগে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নে তিস্তার ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের কছিম বাজার খেয়াঘাটে স্থানীয় এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী, থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম আব্দুস সোবহান, উপজেলা আ’লীগ আহবায়ক টিআইএম মকবুল হোসেন প্রমুখ। প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, সুন্দরগঞ্জের এই ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো রক্ষায় সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সে অনুযায়ি কাজ চলছে। আপনারা শীঘ্রই এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।