বৃহস্পতিবার ● ২১ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » সড়কের মধ্যস্থানে ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি; ঝুঁকিতে পথচারীরা
সড়কের মধ্যস্থানে ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি; ঝুঁকিতে পথচারীরা
সিলেট প্রতিনিধি (বিয়ানীবাজার থেকে ফিরে) :: বর্তমান সরকারের উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ডে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। তারই ধারাবাহিকতায় সিলেটের বিয়ানীবাজারে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে উপজেলাবাসী দেখছে আধুনিক উপজেলার স্বপ্ন। জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ সংস্কার, সরকারি খাস জমি দখলদারদের থেকে উদ্ধার এবং যানজট নিরসনে ফুটপাত ও রাস্তা অবৈধ দখলদার মুক্ত করার উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে। কিন্তু এসব উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাঝে বিষফোঁড়া হয়ে আছে, কয়েকটি রাস্তার মধ্যস্থানে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার খুঁটি ও খাম্বাগুলো।
বিয়ানীবাজার-বহরগ্রাম সড়কের একটি অংশে অনেকটা জায়গাজুড়ে রয়েছে দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। পাশ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে যানবাহন। এতে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। এই দৃশ্যটা উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা ও ঈদগাহ বাজার জামে মসজিদের সম্মুখের বিয়ানীবাজার-বহরগ্রাম সড়কের। ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচলের দৃশ্য সবার চোখে পড়লেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। মাথিউরা ইউনিয়নের সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা ও ঈদগাহ বাজার জামে মসজিদের সম্মুখের বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারন কবে হবে জনতা জানতে চায়। সাধারন জনতা দুর্ঘটনা এড়াতে বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারনে প্রশাসনের দৃষ্টি বার বার আকর্ষন করেও ব্যর্থ হয়েছে। ইতিমাধ্যে বিয়ানীবাজারের স্থানীয় অনলাইন পত্রিকায় রাস্তার মধ্যখানে বৈদ্যুতিক খুঁটির নিউজ হয়েছে কিন্তু কোন প্রতিকার হয়নি। এরকম ভাবে সিলেট অনেক জায়গায় রাস্তার মধ্যখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে।
কিন্তু রাস্তার মাঝে পুরনো খাম্বাগুলো আগের মতোই আছে। যার কারণে প্রায়শই ঘটছে ছোট ছোট সড়ক দুর্ঘটনা। হয়তো বড় কোন দূর্ঘটনার অপেক্ষা করছে এমনটাই ধারনা সাধারন মানুষের। স্থানীয় জনসাধারণ উপজেলার উন্নয়নে সন্তুষ্ট থাকলেও বৈদ্যুতিক খুঁটি বা খাম্বা সৃষ্ট দূর্ভোগে ক্ষুব্ধ। তারা আশা করেন যে, যথাযথ কর্তৃপক্ষ সুন্দর উপজেলা গড়ার প্রয়াসে খুব তাড়াতাড়ি রাস্তারোধক এসব বৈদ্যুতিক খুঁটি ও খাম্বা অপসারন করবেন।
জানা যায়, বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা সড়কটি বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম। বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ, আল এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, মাথিউরা সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা, মাথিউরা দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়, মাথিউরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতেরও একমাত্র সড়ক এটি। পাশপাশি এ সড়কটি বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা, কুড়ারবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারী বাজার ইউনিয়নের দশ-বারটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতে ব্যবহার করে থাকে। এ সড়ক দিয়েই স্থানীয় মাথিউরা ইউনিয়নের অধিকাংশ বাসিন্দারা থানা সদরে যাতায়াত করেন।
স্থানীয়দের দাবি, এই খুঁটি দুটো বেশ কিছু দিন ধরে এই জায়গাতেই রয়েছে। বিয়ানীবাজার-বহরগ্রাম সড়কের মাথিউরা বাজার থেকে শুরু হওয়া রাস্তার মধ্যস্থানে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে খুঁটিগুলো। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের কাছে এ খুঁটিগুলো সরানোর দাবি জানালেও কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা জানান, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার মাথিউরা ও বুধবারীবাজার ইউনিয়নের মানুষ এ সড়কটি যাতায়াতে ব্যবহার করে। এ সড়কের প্রায় মাঝামাঝি স্থানে দুটি বৈদুতিক খুঁটি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর জনদুর্ভোগ লাঘবে অতিদ্রুত এসব বৈদ্যুতিক খুঁটি সরাতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম অভিলাষ চন্দ্র পাল বলেন, স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে আমরা এরকম কোন অভিযোগ পাইনি। তবে সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনানুযায়ী অতি শীঘ্রই বিয়ানীবাজার উপজেলার বিভিন্ন সড়কের মধ্যে থাকা ঝুকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুটিগুলো স্থানান্তর করা হচ্ছে এবং বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে স্থানারিত করা হবে।