শুক্রবার ● ২২ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় তামাকের কালো ছায়া গ্রাস করছে ফসলের ক্ষেত
গাইবান্ধায় তামাকের কালো ছায়া গ্রাস করছে ফসলের ক্ষেত
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: জীবনঘাতী নিকোটিন সমৃদ্ধ তামাকের কালো ছায়া গ্রাস করছে শস্য ভান্ডার গাইবান্ধার সুজলা, সুফলা ফসলের ক্ষেত। আর মরণব্যাধি ক্যানসারের অন্যতম উপাদান হলেও বাজারজাতের নিশ্চয়তা থাকায় তামাক চাষিদের নিরুৎসাহিত করা যাচ্ছে না বলে দাবি কৃষি বিভাগের।
ফসল নয়, মাঠে মাঠে বাড়ন্ত তামাকের চারা। সবুজের আড়ালে প্রতিটি পাতা আর শিরা, উপশিরায় বিষাক্ত নিকোটিন নিয়ে বেড়ে উঠছে একেকটি তামাকের গাছ। বিভিন্ন কোম্পানির বাড়তি সুবিধা পেয়ে দু’পয়সা বেশী রোজগারের আশায় এখানে বিষ ফলান চাষিরা। গাইবান্ধায় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে জীবনসংহারী তামাকের চাষ। তামাক ঠেকাতে হলে ধান, আলুসহ কৃষি ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত ও আইনের প্রয়োগ চান সচেতনমহল।
তামাকের নিকোটিন মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা শতভাগ নিশ্চিত জেনেও নিষিদ্ধ ঘোষিত তামাক চাষ এবং পরিচর্যার কাজ এখনও বন্ধ হয়নি গাইবান্ধায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওইসব কৃষক ও শ্রমিক প্রত্যেকে কোননা কোন রোগে আক্রান্ত।
কথা হয় হরিপুর ইউনিয়নের তামাক চাষি আমিনুল ইসলামের সাথে। তিনি নিজে ২ বিঘা জমিতে তামাক চাষ করেছে। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ৮ হতে ১০ মন তামাক পাওযা যায়। স্বল্পখরচে অধিক লাভের আশায় কৃষকরা এখন তামাক চাষে ঝুকে পড়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতি মন তামাক গ্রেড অনুযায়ী ৫ হাজার হতে ৮ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেলকা ইউনিয়নের তামাক শ্রমিক আব্দুর রহমান জানান, অনেকদিন থেকে তামাক পরিচর্যার কাজ করে আসছি। যার কারণেএটা ছাড়তে পারছিনা। এ কাজ করতে গিয়ে আমি নিজে হাঁপানী রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি।
মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বিশ্বেশ্বর চন্দ্র সরকার জানান, তামাকের নিকোটিনের কারণে মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। সাধারণত যক্ষ¥া, হাঁপানী, কাঁশি ও ক্যান্সারসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি অফিসার সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ জানান, তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহীত করা হচ্ছে। সে কারণে তামাক চাষ এখন নেই বললেই চলে। আশাকরা যাচ্ছে আগামী ৫ বছরের মধ্যে সম্পন্নরুপে তামাক চাষ বন্ধ হয়ে যাবে।
গাইবান্ধায় জ্বলন্ত ইটভাটার আগুন নিভিয়ে দিলো প্রশাসন
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে দমকল বাহিনীর সাহায্যে জ্বলন্ত ইটভাটার আগুন নিভিয়ে দিলো উপজেলা প্রশাসন। পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (দমকল বাহিনী)গাইবান্ধার সহযোগীতায় পলাশবাড়ী উপজেলার ইট ভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের বিশ্রামগাছী গ্রামে চলমান মেসার্স ঈমান (ইবিএল) ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালীন ভাটায় দায়ীত্বশীল কেউই না থাকায় এসময় ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটের সাহায্যে জ্বলন্ত ওই ভাটার আগুন নিভিয়ে দেন উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফ হোসেন জানায়, ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইটভাটা স্থাপন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় মুনতাসির রহমান মন্ডল ও গোলাম মন্ডল দুই ভাইয়ের মালিকানাধীন ওই ইটভাটাটির আগুন নিভিয়ে দেয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে যথাযথ আইন মেনে চলার জন্য ভাটা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়। ত্রুটিপূর্ণ ইটভাটা সমূহে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চলমান থাকবে।