বুধবার ● ২৭ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » রাউজানে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২ বাড়িতে ডাকাতি
রাউজানে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২ বাড়িতে ডাকাতি
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুটি বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় ডাকাত দল নগদ টাকা ও মোবাইল অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় ডাকাতের এলোপাথারি কুপানিতে তিনজন আহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার ৯নং পাহাড়তলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ঊনসত্তর পাড়া গ্রামের সন্দিপ পাড়া, বশির শাহ গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রতক্ষদর্শি সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে ২০-৩০ জনের একদল সশস্ত্র মুখোশধারী ডাকাত দল প্রথমে ঘরের দরজা ভেঙে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে।
ঘরের লোকজনদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা ও বেঁধে ফেলে। এর পর তারা ঘরের আলমারি ভেঙে দুটি ঘর থেকে টাকা ও মোবাইল সহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে একটি সঙ্গবদ্ধ ডাকাতদল প্রথমে বশির মোহাম্মাদ শাহ পাড়ার আহম্মদ ছাপার পুত্র পাইপ ফিটার মিস্ত্রি মো. নঈম উদ্দিনের ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ডাকাত দলের সদস্যরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো.নঈম উদ্দিন বলেন, দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে সবাইকে হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে রেখে আলমিরাতে রাখা ১০ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল ফোন নিয়ে যান। মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ায় কারণে আশপাশে কাউকে ফোন করে বিষয়টি জানাতে পারিনি। পরে পাশের বাড়ির লোকজনের হৈ-চৈ শুনতে পেয়ে সেদিকে গেলে জানতে পারি স্থানীয় এলাকার বারেকের ঘরে ডাকাতদল হানা দেয়।
বারেকের মেয়ের স্বামী শহিদুল্লাহ বলেন, আমার শ্বশুর বাড়ির উঠানে ডাকাত দলের ২০/২৫জন সদস্য অবস্থান নিয়ে ঘরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। আমার শ্যালক ইব্রাহিম টের পেয়ে আমাকে ফোন করে। পরে টর্চলাইট নিয়ে আমি, আমার মা ও আমার স্ত্রী সহ আমরা শ্বশুরের ঘরের দিকে যাওয়ার সময় ডাকাতদলের সদস্যরা আমার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে আটকে ফেলে। পরে একজন আমাকে এলোপাথারি কুপাতে থাকে, টর্চ লইটে দুটি ও আমার হাতে দুটি কুপ পড়ে। এসময় আমার মা ও স্ত্রীকেও পিটান ডাকাত দলের সদস্যরা। এসময় আমি পালিয়ে গেলে রক্ষা পায়। পরে ডাকাতদলের সদস্যরা দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করলে প্রতিহত করার চেষ্টা করে বাকেরের পুত্র মো. ইব্রাহিম। তাকেও কুপ দেয়ার চেষ্টা করলে সে ঘর থেকে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে গেলে একজোড়া কানের দোল, চেইন ও নাকফুল ছিনিয়ে নেয়। এসময় ইব্রাহিম পাহাড়ে উঠে এলাকার সবাইকে ফোন দিলে চারদিক থেকে লোকজন বের হওয়ার পর ডাকাতদলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। ডাকাতদলের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়রা আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ সময় আহতরা হলেন : বাকের মিয়ার জামাাতা মো. শহিদুল্লাহ প্রকাশ মুন্সি মিয়া (৪০), মমতাজ বেগম (৬০), স্ত্রী জান্নতুল ফেরদৌস জয়নাব (৩০), ও নঈম উদ্দিন(৩৭) পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. রোকন উদ্দিন এবং ওয়ার্ডের মেম্বার হাজী আমির হোসেন।
এ বিষয়ে রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেপায়েত উল্লাহ সিএইচট মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এখনো পর্যন্ত (বুধবার বিকেল ৫টা) থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, এটি শহিদুল্লাহর সাথে তার শ্বাশুর বাড়ির লোকজনের পারিবারিক সমস্য ছিল। এটা ডাকাতির ঘটনা নয়, পারিবারিক সমস্যা নিয়ে সৃষ্ট। একই রাতে পাইপ ফিটার মিস্ত্রী নঈম উদ্দিনের ঘর ডাকাতির ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি সিএইচট মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।