বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » উপজেলা নির্বাচন : বিনা ভোটে চেয়ারম্যান ১১২ ও ভাইস চেয়ারম্যান ১১০
উপজেলা নির্বাচন : বিনা ভোটে চেয়ারম্যান ১১২ ও ভাইস চেয়ারম্যান ১১০
ঢাকার দুই সিটির পর উপজেলা ভোটে কেন্দ্রে আসছেনা প্রত্যাশিত ভোটার। সাথে যোগ হয়েছে বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিতির হিড়িক। পঞ্চম উপজলার ৫ ধাপের প্রথম চতুর্থ ধাপে বিনা ভোটে দায়িত্বে আসছেন চেয়ারম্যান ১১২ ও ভাইস চেয়ারম্যান ১১০ একে গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত, বলে নির্বাচন কমিশন ও সরকারী দলকে উদ্যোগ নিতে বলছেন বিশ্লেষকেরা।
তবে এই পরিস্থিতর জন্য কমিশন দায় করছে রাজনৈতিক দল গুলোকে।
সংকটের শুরু ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের ভোট দিয়ে ২৮ ফেব্রয়ারি-২০১৯ উত্তর ঢাকার মেয়র, দুই সিটির নতুন যুক্ত হওয়া ৩৬ ওয়ার্ডের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩১ শতাংশের মতো, একেই অবস্থা উপজেলা নির্বাচনের ভোটে, অংশ নেয়নি বেশীর ভাগ দল। কেন্দ্রে আসছেনা প্রত্যাশিত ভোটার। এর পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতার নির্বাচিত হওয়ার হিড়িক,৪ ধাপের ৪৬০ উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় ভোট ছাড়াই জয় ১১২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর একেই ভাবে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হচ্ছেন ১১০ জন। বিশ্লেষকেরা বলছেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবেন ভোটার, তবে নানা অনিয়ম আর পূর্বো ধারনায় ভোট দিতে আগ্রহ হারিয়েছেন তারা এছাড়া সুষ্ঠ ভোট আয়োজনে কমিশন ব্যার্থ হয়েছে বলেই তাদের ওপর আস্থা হারিয়েছে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল।
আগামী ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের যে ১৫টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হবে না সেগুলো হচ্ছে : ভোলা সদর, মনপুরা, চরফ্যাশন, যশোরের শার্শা, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, ঢাকার সাভার, কেরানীগঞ্জ, কুমিল্লার লাকসাম, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ, দেবিদ্বার, চৌদ্দগ্রাম, নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ, বাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও ফেনীর পরশুরাম।
২৪টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে : ভোলার দৌলতখান, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া, যশোর সদর, খুলনার ফুলতলা, বটিয়াঘাটা, বাগেরহাট সদর, মোংলা, চিতলমারী, কচুয়া, রামপাল, শরণখোলা, ময়মনসিংহ সদর, ফুলবাড়িয়া, ঢাকার দোহার, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি, নোয়াখালীর সেনবাগ, সোনাইমুড়ি, সুবর্ণচর, বাহ্মবাড়িয়ার আখাউড়া, ফেনীর ফুলগাজী, সোনগাজী, দাগনভূঁইয়া, ছাগলনাইয়া ও দিনাজপুর সদর।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অন্য ৭ উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছে নোয়াখালীর চাটখিল, ফেনী সদর, খুলনার দাকোপ, পিরোজপুরের নাজিরপুর, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও বাগেরহাটের ফকিরহাট।
এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যে ১২ উপজেলায় ভোট হবে না সেগুলো হচ্ছে : পটুয়াখালী সদর, ভোলার দৌলতখান, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া, বাগেরহাট সদর, ফকিরহাট, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, ঢাকার ধামরাই, কুমিল্লার বরুড়া, নোয়াখালীর সুবর্ণচর, বাহ্মবাড়িয়ার আখাউড়া ও ফেনী সদর।
এবিষয়ে সুজন এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আছে, তারা যদি এ দায়িত্ব পালন করতে চায় তারা একটি রাজনীতিক সমযোতায় পৌঁছানোর উদ্যোগ নিতে পারে। এই সমস্যাটা সমধানের জন্য সবারই ভুমিকা লাগবে, রাজনৈতিক দলের ভুমিকা লাগবে, নির্বাচন কমিশনের ভুমিকা লাগবে আরো অন্যন্যে সংশ্লিষ্ট সরকারি ভুমিকা লাগবে।
এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে, তবে এর দায় নিতে রাজি নয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার সচিব হেলালুদীন আহমদ বলছেন বিনা প্রতিদ্ধন্ধীতার নির্বাচিত হওয়া আর ভোটার সল্পতার দায় নিতে হবে রাজনীতিক দল গুলোকে, যাঁরা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি তাঁরাও কিন্তু ভোটারদেরকে কেন্দ্রে না আসার জন্য ভয়ভীতি প্রর্দশন করছে গ্রামঞ্চলে এধরনের কিছু প্রপাকান্ড ভোটদের কাছে ছড়ানো হচ্ছে। যাঁর ফলে ভোটরদের কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ কম মনে হচ্ছে এবার।
তবে ভোটার সল্পতা বেশ কিছু রাজনৈতিক দল ভোটে অনুপস্থীতি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে ফেলতে পারে বলে আশংকা বিশ্লেষকদের।
আগামী ১৮ জুন-২০১৯ পঞ্চম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হবে।