শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: স্থগিত হওয়া গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৩১মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। গোবিন্দগঞ্জের প্রার্থীরা প্রচারণার শেষ মুহুর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্র“তি। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শহর, হাটে-বাজারে, চায়ের দোকানে সর্বত্রই নির্বাচনী পোষ্টারে সয়লাব। সিএনজি, ইজিবাইক, অটোরিক্সা ও ভ্যানে পোস্টার লাগিয়ে চলছে মাইকিং। মন মাতানো পরিচিত গানের মধুর সুরে চাওয়া হচ্ছে ভোট। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন।
গত ২৮ ফেব্র“য়ারি প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর থেকেই পুরো এলাকায় পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে। প্রার্থীদের প্রচারণায় উৎসব মুখর গোটা উপজেলা। ভোট চাইতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা। নিজের পরিচিতি ও নানা প্রতিশ্র“তি তুলে ধরে ভোটাদের কাছে বিতরণ করছেন লিফলেট। গত ১৮ মার্চ ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও আইনি জটিলতার কারণে উচ্চ আদালতের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এদিকে নির্বাচন কমিশনের গত ২০ মার্চের এক পরিপত্র মোতাবেক অতিরিক্ত গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং অফিসার রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় স্থগিত হওয়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৩১মার্চ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এখন চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলো- আ’লীগ প্রার্থী আব্দুল লতিফ প্রধান (নৌকা), স্বতন্ত্র (আ’লীগের বিদ্রোহী) মুকিতুর রহমান রাফি (ঘোড়া), স্বতন্ত্র জাহিদ চৌধুরী (আনারস), স্বতন্ত্র ফেরদাউস আলম রাজু (দোয়াত কলম), স্বতন্ত্র ওয়ার্কাস পার্টির আবদুল মতিন মোল্লা (হাতুড়ি) ও স্বতন্ত্র নাজমুল ইসলাম (মোটরসাইকেল)। এ উপজেলায় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা গঠিত। ভোট কেন্দ্র সংখ্যা ১৩৯টি, ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ, ৮৬ হাজার, ২৯৬ জন।
উল্লেখ্য, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিনে চেয়ারম্যান পদে নাজমুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। পরে নাজমুল ইসলাম প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত নাজমুল ইসলামকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করাসহ প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশে ১৮ মার্চের নির্বাচনে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।