শনিবার ● ৩০ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » যমুনার তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ : ভাঙন আতঙ্কে ১০ লাখ মানুষ
যমুনার তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ : ভাঙন আতঙ্কে ১০ লাখ মানুষ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাজের অগ্রগতি না হবার অভিযোগ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্ধ করে দিয়েছে গাইবান্ধার ফুলছড়িতে যমুনা নদীর ডানতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ। এতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বন্যা ও ব্যাপক ভাঙনের আশংকায় রয়েছেন সদর ও ফুলছড়ি উপজেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষ। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নতুন কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পুনরায় প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। ২শ’ ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর চার হাজার ৫শ’ মিটার এলাকায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এই মেগা প্রকল্প।
২০১৮ সালের জুনে মাসে গাইবান্ধায় মেগা প্রকল্প যমুনা নদীর ডানতীর সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধন করেন তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। এরপর থেকেই সদরের বাগুড়িয়া, ফুলছড়ির বালাসীঘাট, গণকবর ও সিংড়িয়া এলাকায় চলছে ব্লক তৈরির কাজ। দু’টি উপজেলার এই চারটি পয়েন্টে নদীর লুপকাটিং করে ছয় থেকে আট ফুট গভীর ক্যানেল তৈরি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী ২০২০ সালের জুন মাসে কাজ শেষ করতে হবে। তবে নিয়ম অনুযায়ী আরো এক বছর সময় বাড়ানো যাবে। কিন্তু গত ৯ মাসে কাজের মাত্র দুই শতাংশ শেষ হয়েছে। এ অবস্থায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাজের অগ্রগতি হয়নি এমন অভিযোগ করে প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বন্যা ও ভাঙন আতংকে রয়েছেন নদী তীরবর্তী প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, ‘এখানে যদি নদীর কাজ দ্রুত না করা হয়, এই এলাকার মানুষ অনেক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়বে। ৭-৮ কিলোমিটার দুরে ছিল নদী, সেই নদী ভাঙতে ভাঙতে এখন শহর পর্যন্ত চলে আইছে’।
অন্যদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি, কমপক্ষে ২৮ দিন আগে নোটিশ দেয়ার নিয়ম থাকলেও মাত্র এক সপ্তাহের ঘোষণায় প্রকল্পের কাজটি বন্ধ করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান বলেন, ‘যেসময় কাজের গতি বেড়েছে, সেই সময় অসৎ উদ্দেশ্যে কাজটি বাতিল করা হয়’।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জানান, বর্তমান বা নতুন কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে পুনরায় প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেসুর রহমান বলেন, ‘এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কিছু অংশ কেটেছে, তো এখন নতুন যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আসবে, তারা সেখান থেকেই কাজ শুরু করবে’।
গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ইউনিয়ন সমাজকর্মী
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে আব্দুল গণি সরকার (৬৫) নামে ১ জন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে সদর উপজেলার ১নং ট্রাফিক মোড়ের রেল ক্রসিং এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল গণি সরকার জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পূর্ব দামোদরপুর গ্রামের মৃত কছর উদ্দিনের ছেলে। তিনি সাদুল্যাপুর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে ইউনিয়ন সমাজকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রেল ক্রসিং পার হচ্ছিলেন নিহত আব্দুল গণি সরকার। এসময় গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা সান্তাহারগামী লোকাল ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।