সোমবার ● ১ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ঢাকার পর রাউজানে ভয়াবহ আগুন
ঢাকার পর রাউজানে ভয়াবহ আগুন
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজানে উপজেলার সদরে মুন্সিরঘাটায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি কলোনি পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনে শতাধিক দোকান রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। এসময় স্থানীয় শতশত লোকের সহায়তায় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সুত্রে এই অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় কমপক্ষে ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঘটনাস্থলের লোকজন জানিয়েছে গতকাল রবিবার সাড়ে ৫টায় আগুনের সূত্রপাত হয় স্থানীয় জামাল কলোনিতে বিদ্যুৎ সর্ট সার্কিট থেকে। আগুনের ফুলকি দ্রুত ছড়াতে থাকলে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে প্রথমে রাউজান ফায়ার সার্ভিস থেকে দুটি ইউনিট এসে আগুন নিভানোর কাজে যোগদেয়। এরপর তাদের সাথে আরোও যোগদেয় হাটহাজারী থেকে আসা আরো দুটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিয়ট। প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জনসাধারণ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুনের তীব্রতা বাড়লে এসময় বেশির ভাগ মানুষ ব্যস্ত ছিল আশেপাশে থাকা দোকানের মালামাল সরিয়ে নিয়ে দোকান গুলোর সকল মূল্যবান মালামাল রক্ষার কাজে। তারা সড়কের উপর নিরাপদ স্থানে মালামাল বড় বড় স্তুপ করে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
একাদিক সূত্রে মতে স্থানীয় লোকজন জীবনের ঝুকি নিয়ে কলোনির ভিতর প্রবেশ করে নারী শিশুদের বের করে আনে। সবার সাহসি উদ্ধার তৎপরতায় এই ভয়াবহ আগুনে কোনো প্রাণহানী ঘটনা ঘটেনি বলে জানা যায়।
অগ্নিকাণ্ডের সময় দেখা গেছে ঘটনাস্থল থেকে রাঙামাটি সড়কের উভয় দিকে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। হাজার হাজার মানুষ সড়ক পথে আগুনের ভয়াবহতার দৃশ্য দেখে মোবাইলে ছবি তোলতে ব্যস্ত থাকে। সৃষ্টি হয় সড়কের উপর হাজার হাজার মানুষের জটলা। অনেকেই আবার যার যার মত করে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের সাথে আগুন নিভানোর কাজে সহায়তা করছে।
রাউজান থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেপায়েত উল্লাহ ও তার পুলিশ দল সড়ক থেকে মানুষকে সরিয়ে দিয়ে ফায়ার সাভিসকে সহায়তায় শৃংঙ্খলা রক্ষায় হিমশিম খেতে দেখা যায়। বিশেষ করে উৎসুক মানুষের কারণে আগুন নিভানোর কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারীদের ভিড় সামলাতে পুলিশদল বেগ পেতে হয়।
এলাকার লোকজন বলেছেন রাঙামাটির সড়কের পাশে থাকা শতাধিক সেমিপাকা দোকানের পিছনে আড়াআড়ি ভাবে রয়েছে জামাল কলোনি। এই কলোনিতে বসবাস করতো ২০ থেকে ২৫ পরিবার। এসব পরিবারের কোনো একটি ঘরে সার্ট সাকিট হলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাত আটটায় দেখা যায়, দুর্গত পরিবারের নারী শিশুদের খাবার ও প্রয়োজনীয় কাপড় ছোপড় দিচ্ছেন। পৌরসভার প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেছেন জীবন ঝুকি নিয়ে আগুনে ঝাপিয়ে পড়ে নারী শিশুদের উদ্ধার করেছে।