মঙ্গলবার ● ৫ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » ভুমিকম্পের সময় আতংকে ৩ জনের মৃত্যু
ভুমিকম্পের সময় আতংকে ৩ জনের মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক :: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, রাজশাহী ও লালমনিরহাটে ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়িতে বাড়ি থেকে নামতে গিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন মৃত ব্যক্তি আতংকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে রাজশাহীতে খলিলুর রহমান নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এর এক কর্মচারী মারা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক আনোয়ার আলী।
লালমনিরহাটের জেলার পুলিশ টিএম মুজাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন পাটগ্রামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এই সবগুলো ক্ষেত্রেই আতংকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন জেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়ে এখন হাসপাতালে রয়েছেন।
আরো অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আতংক ও হুড়োহুড়িতেই এসব আহতের ঘটনা ঘটেছে।
সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকেও একই ধরনের খবর আসছে।
ঢাকার বংশালে একটি ভবন হেলে পড়েছে।
ভবনটি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছিলো। তবে তারা আবার ফিরে গেছেন।
প্রকৌশলীরা ভবনটি পরীক্ষা করবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
উৎসস্থল ইম্ফলে নির্মাণাধীন একটি ৬ তলা ভবন ধসে পড়েছে।
উদ্ধারকারী এই সংস্থাটি আরো জানিয়েছে শাঁখারিবাজারে একটি পরিত্যক্ত ভবনে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনের দেয়ালে ফাটল ধরেছে।
ওদিকে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ইম্ফলে নির্মাণাধীন একটি ৬ তলা ভবন ধসে পড়েছে।
সেখানকার পুলিশ বলছে, এখনো পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর তারা পেয়েছেন।
কোলকাতা থেকে সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী জানিয়েছেন মনিপুরের সাথে টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায় ভোর পাঁচটার খানিক পরে ৬ দশমিক আট মাত্রার এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৩৫৭ কিলোমিটার ।
ঢাকায় অনেকেই বলছেন এর আগে তারা এমন শক্তিশালী ধাক্কা অনুভব করেন নি।
এসময় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মানুষজনকে আতঙ্কিত হয়ে বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় বের হয়ে আসতে দেখা গেছে।
ঢাকায় দিনের আলো ফোটার আগেই রাস্তা হটাত সরগরম হয়ে ওঠে তাদের উপস্থিতিতে।
উৎস এলাকাটিকে একটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা বলা হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপালে ২০১৫ সালে এপ্রিলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৯ হাজারের মতো মানুষ মারা গেছে।
প্রায় ১০ লাখের মতো ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
২০০৫ সালে পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীরে আর এক ভূমিকম্পে ৭৫ হাজার মানুষ নিহত হয়।