বুধবার ● ৩ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » রাজশাহী » সোনাদীঘি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের বৈধভাবে স্থায়ী জায়গা দেয়া হবে
সোনাদীঘি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের বৈধভাবে স্থায়ী জায়গা দেয়া হবে
রাজশাহী প্রতিনিধি :: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, আইন অনুয়াযী সোনাদীঘি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সিটি সেন্টারে পুর্নবাসন করা হবে। আমরা সোনাদীঘি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের বৈধভাবে স্থায়ী জায়গা করে দিতে চাই। যাতে ব্যবসায়ীরা ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারে। কখনো কেউ যাতে তাদের তুলে দিতে না পারে।
মঙ্গলবার রাত আটটায় নগরভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে সোনাদীঘি মার্কেট ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের কোনো ক্ষতি করতে চাই না। সবাই মিলে রাজশাহীর উন্নয়ন করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, সিটি সেন্টারের নির্মাণ কাজ শেষ হলে সব মিলে চমৎকার স্থাপনা হবে। মধ্যশহরের ঘিঞ্জি অবস্থা দূর হবে।
প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ, ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল হাসান বাচ্চু, ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম পিন্টু, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাওগাতুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পালসহ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
পুঠিয়ায় জিউপাড়া ইউপির মেম্বারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
রাজশাহী :: রাজশাহীর পুঠিয়ায় জিউপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মোঃ জামাল উদ্দিন বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে তার পরিবারের লোকজনের নামে ২২ টি সরকারী সুবিধা ভোগ করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি নিজে মেম্বার হওয়ার সুবাদে চেয়ারম্যান ও সচিব এবং কিছু কর্মকর্তা সহযোগীতায় অনিয়মের মাধ্যমে নিজের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের নামে ভিজিডি, ভিজিএফ, কর্মসূচি, প্রতিবন্ধি, বয়স্কভাতা, বিধাবাভাতা ও ফেয়ার প্রাইজসহ বিভিন্ন রকম প্রায় ২২ টি সুবিধা ভোগ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নিকট তদন্ত পূর্বক মেম্বারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী করেন এলাকাবাসী।
উপজেলা পরিষদ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রকল্পের তালিকা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ৬ নং জিউপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মোঃ জামাল উদ্দিন তার ছেলে ইউসুফ কর্মসূচির তালিকা নং ৪৭।
মেম্বারের দুলাভাই শফির উদ্দিন কর্মসূচি তালিকা নং ২১ এবং ফেয়ার প্রাইজ তালিকা নং ৫৬৩। মেম্বারের বোন রেনু, স্বামী শফির উদ্দিন ভিজিডি তালিকা নং ১২৯ এবং ভিজিএফ তালিকা নং ৭৬৮। ভাগ্নে সোহেল, পিতা শফির উদ্দিন কর্মসূচির তালিকা নং ২২, ফেয়ার প্রাইজ তালিকা নং ৫৩৭ এবং ভিজিএফ তালিকা নং ৭৬৯। ভাগ্নি সেলিনা, পিতা শফির ভিজিডি তালিকা নং ১৩৩, ভিজিএফ তালিকা নং ৭৯২, ফেয়ার তালিকা নং ৫৫৭।
অপর এক চাচা সমশের ভিজিএফ তালিকা নং ৭২৪ এবং ফেয়ার তালিকা নং ৫০৬। চাচী বাছেনা শমশেরের ১ম স্ত্রী ফেয়ার তালিকা নং ৫০৫। চাচী ইয়াতন শমশেরের ১ম স্ত্রী ভিজিডি তালিকা নং ১৩৮।
মেম্বারের ফুপাতো ভাই আশরাফুল, পিতা মৃত আবুল কাশেম কর্মসূচির তালিকা নং ৪৩, ফেয়ার প্রাইজ তালিকা নং ৪৫, তার স্ত্রী সাথী ভিজিডি তালিকা নং ১০৩। মেম্বারের আরেক চাচা আঃ ছালাম ফেয়ার তালিকা নং ৪৯০।
মেম্বারের আরেক দুলাভাই তমির উদ্দিন, পিতা মৃত আঃ মন্ডল, ফেয়ার তালিকা নং ৫১২। ভাগ্নে-মিনারুল, পিতা তমির উদ্দিন কর্মসূচীর তালিকা নং ৪৫।
ফুবু রুপজান, স্বামী মৃত আবুল কাশেম, বয়স্কভাতা তালিকা নং ২০৫ নামে সরকারী বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করে আসছে।
এলাকাবাসীর দাবী মেম্বার হওয়ায় তিনি তার আত্নীয় সজনদের নামে বে-নামে একাধিক প্রায় ২২ টি সুবিধা ভোগ করছে। তাহলে এলাকায় কি তারাই শুধু গরীব আর কেউ নেই? তাই তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান প্রশাসনকে।
সদস্য (মেম্বার) মোঃ জামাল উদ্দিন জানান, মেম্বার হয়েছি বলে কি নিজের আত্নীয় সজনকে দেখবো না। আর আমার বিয়ে হয়েছে অন্য ওয়ার্ডে কিন্তু তার জাতীয় পরিচয়পত্র আমার ওয়ার্ডে তার নাম তালিকায় দেওয়া হয়েছে। তাই তাকে তালিকায় রাখা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন সরকার জানান, আমি নির্বাচনে জয়লাভের পর বিভিন্ন মামলায় বাইরে ছিলাম তাই বিষয়গুলি আমার জানা নাই। আর মেম্বরা যাকে মনোনীত করে তার নামই তালিকায় দেওয়া হয়। আর কারো নাম একাধিক বার আছে কি না আমার জানা নাই। তবে কেউ একাধিক থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওলিউজ্জামান জানান, সরকারী নিয়ম অনুযায়ে এক পরিবারের মাত্র একজন ব্যক্তি একটি মাত্র সুবিধার আওতায় থাকবে। কেউ একাধিক সুবিধা পাওয়ার নিয়ম নাই। আর জিউপাড়া ইউনিয়নের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা আছে। তাদের রির্পোট হতে পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।