বৃহস্পতিবার ● ৪ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » গফরগাঁওয়ে দুধ বিক্রি করতে যাওয়ার পথে স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা : আটক-১
গফরগাঁওয়ে দুধ বিক্রি করতে যাওয়ার পথে স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা : আটক-১
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে দুধ বিক্রি করতে বাজারে যাওয়ার পথে ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্র মো. আলফাজ (১১)কে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এলাকাবাসী রিফাত (১৯) নামে এক যুবককে আটক করে থানা পুলিশে সোর্পদ করেছে।
বুধবার ৩ এপ্রিল বিকেল ৪টার দিকে গফরগাঁও উপজেলার ছয়বাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গফরগাঁও উপজেলার খারুয়া বড়াইল গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে এবং খারুয়া বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আলফাজ বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে দুধ নিয়ে বিক্রির জন্য ছয়বাড়িয়া বাজারে যাচ্ছিল। আলফাজ ছয়বাড়িয়া গ্রামে কাছে পৌঁছালে সিরাজ মিলিটারীর ছেলে রিফাতের (১৯) নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন যুবক ও মহিলা তাকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে খবর পেয়ে আলফাজের বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক আলফাজকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে গফরগাঁও থানা পুলিশ আলফাজের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহত আলফাজের বড় ভাই সুমন জানায়, পরিকল্পিতভাবে এই খুনীরা আমার ভাইকে হত্যা করেছে।
এদিকে ঘটনার পর এলাকাবাসী ধাওয়া করে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রিফাতকে আটক করে গফরগাঁও থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। রিফাত গফরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান জানান, নিহত আলফাজের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মোিডকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আরো জানান তিনি।
ঈশ্বরগঞ্জে নির্বাচনী সংঘর্ষের সময় মাঝখানে পড়ে গুরুতর আহত ব্যক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার অঠারবাড়ি রায়ের বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী আ’লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় মাঝখানে পড়ে উভয়পক্ষের ছুঁড়ে মারা ইট-পাটকেলের আঘাতে গুরুতর আহত পথচারী সাখাওয়াত হোসেন (৩৫)হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বুধবার ৩ এপ্রিল সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত সাখাওয়াত হোসেন মারা যান। নিহত সাখাওয়াত হোসেন গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহাম্মেদ কবীর জানান, গত ২৮ মার্চ রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার অঠারবাড়ি রায়ের বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদ হাসান সুমন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বদরুল আলম প্রদীপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময় ঘটনাক্রমে গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা পথচারী সাখাওয়াত সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে উভয়পক্ষের ছুঁড়ে মারা ইট-পাটকেলের আঘাতে গুরুতর আহত হন।
তিনি জানান, পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাখাওয়াতকে প্রথমে ঈশ্বরগঞ্জ ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় অবস্থার অবনতি হলে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই বুধবার সকালে তিনি মারা যান। বর্তমানে হাসপাতাল মর্গে তার মরদেহ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২৮ মার্চের ওই ঘটনার পর সাখাওয়াতের ভাই বরকত উল আলম বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সে সময় পুলিশ মোস্তাফিজুর রহমান স্বপন ও রবিন নামের দু’জনকে গ্রেফতার করে। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে চারজন জামিনে মুক্ত ও তিনজন পলাতক রয়েছে বলেও জানান ওসি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রায়েরবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোতালেব চৌধুরী জানান, নিহতের ভাই বাদী হয়ে যে মামলাটি করেছিলেন, সেটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য করা হবে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাখাওয়াত হোসেন নামে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তিনি দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় ইট পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছিলেন।
তবে এ বিষয়ে বদরুল আলম প্রদীপের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।