মঙ্গলবার ● ৫ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » বাংলাদেশের মানুষ জঙ্গিবাদ পছন্দ করে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের মানুষ জঙ্গিবাদ পছন্দ করে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জীপুর জেলা প্রতিনিধি :: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ হল ধর্মপ্রাণ, তারা ধর্মান্ধ নয়৷ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদ পছন্দ করে না৷ জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয় না৷
৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর অদূরে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে তাবলীগ জামায়াত আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমা মাঠের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার সেডিয়ামে জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আলোচনায় সভায় তিনি এ কথা বলেন৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে অস্থির পরিবেশ তৈরির পেছনে দেশি এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে৷ আমরা সব ঘটনা উদ্ঘাটন করেছি৷ সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে৷
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশের ঐতিহ্য৷ আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেছি৷ আমাদের যে অভিজ্ঞতা রয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে এবং সর্বোপরি এলাকাবাসী তত্পর রয়েছে৷ আমি মনে করি, এই জামায়াত সুন্দরভাবে হবে৷ ধর্মপ্রাণ মুসলমান যারা আসবেন তারা জামায়াত শেষে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন৷
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ৷
উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লার রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মইনুল রহমান চৌধুরী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম আলম, অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ প্রসাশন ও রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা৷
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেন, জঙ্গিবাদীরা যেন অপকর্ম করতে না পারে সেজন্য কঠোরভাবে কাজ চলছে৷ আগে সরকার ইজতেমার দায়িত্ব রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করেনি৷ শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে ইজতেমার দায়িত্ব পালন করছেন৷
গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারম্নন-অর-রশিদ সার্বিক প্রস্তুতির অগ্রগতি তুলে ধরে জানান, বুধবার থেকে ইজতেমায় বিভিন্ন সত্মরে বিভক্ত হয়ে পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন৷ একটি প্রধান নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ মোট পাঁচটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হবে৷ সেই সঙ্গে থাকবে ৬০টি সিসি টিভি, পাঁচটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, বিপুল সংখ্যক সাদা পোশাকের পুলিশ৷ এ ছাড়া ২০ জন ম্যাজিস্ট্রেট পালাক্রমে চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন৷
যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য আব্দুল্লাহপুর থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা এবং পূর্বে মিরের বাজার পর্যন্ত প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন৷ সড়ক-মহাসড়কের পাশে কোনো হকার বা ফুটপাতে কোনো দোকান থাকবে না, বলেও জানান হারম্নন-আর-রশিদ৷
ডিআইজি মাহফুজুল হক জানান, জঙ্গি ধরতে ইজতেমায় বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে৷ কেউ কোনো নাশকতা করলে রেহাই পাবে না৷
এবারও (২০১৬ সাল) বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে৷ প্রথম পর্ব ১৬ জেলা ০৮ জানুয়ারী থেকে ১০ জানুয়ারী ও দ্বিতীয় পর্ব ১৬ জেলা ১৫ জানুয়ারী থেকে ১৭ জানুয়ারী পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে৷ এরই মধ্যে বিদেশি প্রায় ৪ হাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছেন৷