শনিবার ● ৬ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাইবান্ধায় ১৫ লক্ষ টাকার মাদকসহ মেঘলা আটক
গাইবান্ধায় ১৫ লক্ষ টাকার মাদকসহ মেঘলা আটক
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে বৃহস্পতিবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাসযাত্রী হিসাবে হাকিমপুর হতে বগুড়া যাবার পথে বাস পরিবর্তনের জন্য পৌরসভাস্থ কাইয়াগঞ্জ এলাকায় অপেক্ষারত অবস্থায় পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী, বহনকারী চাঁদনী বেগম ওরফে মেঘলা (২৮) কে ৩০০ গ্রাম হিরোইন ও ১৫ পিস ফেন্সিডিলসহ আটক করে পুলিশ। আসামী মেঘলা দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার দক্ষিন বাসুদেবপুর চুরিপট্টির মিলন মিয়ার স্ত্রী। ঐ সময় তার সংগে থাকা সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধারকৃত হিরোইন ও ইয়াবার মুল্য ১৫ লক্ষ ৭ হাজার ৫ শত টাকা। আসামি মেঘলার বিরুদ্ধে বগুরা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরো চারটি মাদক মামলা আছে। আসামি মেঘলা ও তার স্বামী মিলন উভয়ই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্রে চাষীদের পাওনা ৩৫ লাখ, হতাশায় কৃষক
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্রে ৩৫ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে চাষীদের। রংপুর চিনিকল লি: মহিমাগঞ্জের আওতাভুক্ত আখচাষীদের বিক্রিত আখের দাম দীর্ঘদিনেও পরিশোধ না করায় তাদের মধ্যে এখন চরম ক্ষোভ আর হতাশা বিরাজ করছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিক্রিত আখের দাম পাওয়া না পাওয়া নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আখচাষীরা। ওই এলাকার আদর্শ আখচাষী আমিনুল ও আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের পাওনা টাকা পরিশোধের দাবিতে এর আগে গাইবান্ধা জেলা শহরে মানববন্ধন ও সভা সমাবেশ করা হয়েছে। কিন্তু এতেও কোন ফল হয়নি। মনে হয় সংশি-ষ্টদের এ নিয়ে কোন ভাবনা নেই’।
আখচাষীরা অভিযোগ করে জানান, আজ থেকে প্রায় ২ মাস আগে তাদের কাছ থেকে আখ কেনা হয়। কিন্তু যথাসময়ে আখের দাম পরিশোধের কথা থাকলেও উর্দ্ধতন বড়কর্তাদের গাফিলতি আর অবহেলায় প্রায় ২ মাসেও ৫০/৬০ জন চাষীর পাওনা আনুমানিক ৩৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয়নি। আজ কাল পরশুর মধ্যে পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে মর্মে সংশি¬ষ্টরা শুধু আশ্বাস দিয়ে যান। কিন্তু তাদের ওই আশ্বাসের বাণী তারা রক্ষা করতে পারেনি। দিনের পর দিন অবশেষে মাস পেরিয়ে গেলেও চাষীদের টাকা পরিশোধ করতে পারেনি মিল কর্তৃপক্ষ। এভাবে আখচাষীদের হয়রানী ও তাদের পাওনাদি পরিশোধের নামে তালবাহানা করা হচ্ছে বলে জানান আখচাষী হাছেন আলী, জাকিরুল হাবিজার, আজগর আলীসহ আরো অনেকেই।
কৃষকরা আক্ষেপ করে বলেন, আমরা গরীব চাষী আমাদের সংসার চলে কষ্টার্জিত উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে। সেই বিক্রিত ফসলের দাম না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছি। তবুও মিল কর্তৃপক্ষ অদ্যবধি এ ব্যাপারে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি।
নলডাঙ্গা সাবজোন অফিস সুত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ আখ মাড়াই মৌসুমে এ কেন্দ্রে দেড় হাজার মে: টন আখ ক্রয়ের লক্ষ্যেমাত্রা নির্ধারন করে গত ৭ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে আখ ক্রয় কার্যক্রম শুরু করা হয়। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আখচাষীদের নিকট হতে এক হাজার ৩০৭ মে:টন আখ ক্রয় করে গত ৬ ফেব্র“য়ারী ২০১৯ তারিখে ক্রয় কার্যক্রম শেষ করা হয়। তবে এ কেন্দ্রের আওতাধীন এখনও ৫০/৬০ জন আখচাষীর প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা পাওনা আছে।
নলডাঙ্গা ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্রের ইনচার্জ মেহেদি হাসান রুবেল বলেন, প্রতিনিয়তই আখচাষীরা তাদের পাওনা টাকার জন্য অফিসে আসেন। কিন্তু টাকা না পেয়ে কৃষকেরা বকাঝকা করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে আমার কি করার আছে। তবে আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে চাষীদের পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য প্রতিনিয়তই অবহিত করে আসছি।
রংপুর চিনিকল লি: মহিমাগঞ্জের জেনারেল ম্যানেজার রেজাউল করিম জানান, আপনারা নিশ্চয় জানেন এসব মিল সরকার কর্তৃক পরিচালিত হয়। বর্তমানে চিনির দাম কম হওয়ায় মিল থেকে উৎপাদিত সব চিনি মজুদ রয়েছে। এছাড়া সরকারী মূল্যের চেয়ে বাইরে চিনির বাজার অনেকটা কম হওয়ার কারনে সরকার চিনি বিক্রি করতে পারছেন না। সরকার খুব শীঘ্রই আখচাষীদের টাকা পরিশোধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।