মঙ্গলবার ● ৯ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » হালদা নদীতে ৮ কেজি ওজনের মরা মৃগেল মাছ ভেসে উঠেছে
হালদা নদীতে ৮ কেজি ওজনের মরা মৃগেল মাছ ভেসে উঠেছে
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: হালদা নদীতে ভেসে উঠেছে ৮ কেজি ওজনের একটি মরা মৃগেল মাছ। আজ মঙ্গলবার উপজেলার উত্তর মাদার্শা খলিফা ঘোনা আজমের ঘাটা এলাকায় স্থানীয়রা মরা মাছটি উদ্ধার করে বলে জানা গেছে। মাছটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৩ ইঞ্চি।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আজমের ঘাট এলাকায় স্থানীয়রা মরা মাছটি ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় তারা মাছটি উদ্ধার করে গড়দুয়ারা নয়াহাট এলাকায় নিয়ে আসে। পরে হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরীয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে মাছটি পরীক্ষা করেন।
এ সময় মাছের গায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন ড্রেজারের আঘাতে মা মাছটি মারা যাওয়া দুঃখজনক জানিয়ে তিনি বলেন, মাছটির ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ধারনা করা হচ্ছে রাতেই কোন ড্রেজারের আঘাতে মারা গেছে মাছটি। মাছটি পঁচে যাওয়ায় স্থানীয়দের সহায়তায় মাটি ছাপা দেয়া হয়েছে।
রাউজানে আবারো ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়েছে ৯ বসতঘর
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানে অগ্নিকান্ডে পুড়েছে ৯ বসতঘর। আজ মঙ্গলবার বিকলে ৪টার দিকে উপজেলার ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভূইঞা আলীর বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে গ্যাস সিলিন্ডারের বিষ্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত হয়ে লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকঘন্টার মধ্যে ৯টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, নুর হোসেন, আব্দুস সালাম, আবুল কাশেম, মাসুদ, সোহেল, মো. আলী, আগজর আলী, মৃত আহম্মদ হোসেনের মেয়ে ফুলবানু। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে আজগর আলী নামের এক কুয়েত প্রবাসীর ভিসাসহ পাসপোর্ট ও টিকিট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকান্ডে ৯টি পরিবারের নগদ টাকা, আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ প্রায় বিশ লাখার ক্ষয়-ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
এ প্রসঙ্গে রাউজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু বলেছেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের চেষ্টায় আশপাশের আরো অনেক ঘর রক্ষা পেয়েছে। তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এহছান মুরাদ বলেছেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ দুই হাজার টাকা ও ৩০ কেজি চাউল প্রদান করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের আরো সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। রাউজান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের লিডার নেছার উদ্দিন বলেছেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলেও মেইন রোড থেকে অগ্নিকান্ড কবলিত এলাকায় যাতায়তের রাস্তাটি সরো হওয়ায় অগ্নিনিবাপনের যান্ত্রপাতি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগে। আশপাশে ৩/৪টি পুকুর থাকায় স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আমরা দেড়ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।