শুক্রবার ● ১২ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » পান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকরা
পান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকরা
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: আজ থেকে ২০ বছর আগে পান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল গাইবান্ধার কৃষকরা। এরপর যতই দিন যাচ্ছে ততই পানের দাম বেড়েই চলছে। সে কারণে ইদানিং পান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে গাইবান্ধা সদরসহ উপজেলা গুলোর এক শ্রেণির কৃষক। গাইবান্ধার মধ্যবিত্ত শ্রেণির কৃষকরা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার নিকট থেকে লোন নিয়ে পানের বরজ করছে। যে সকল পান চাষি বাপ দাদার ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে ভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়েছিল তারা আজ পান চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে পড়েছে। বেশ কিছুদিন থেকে পানের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়ায় পুনরায় পান চাষে ঝুকে পড়েছে কৃষকরা।
গাইবান্ধা সদর পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পান চাষ বেশি হচ্ছে। কথা হয় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের পানচাষি বেলাল মিয়ার সাথে তিনি বলেন, এক সময় তার বাবার পানের বরজ ছিল। পানের দাম না থাকায় পান চাষ বন্ধ করে দেয় তারা। এরপর কৃষি কাজ শুরু করে। হঠাৎ পানের দাম বাড়তে থাকায় বেলাল মিয়া বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার নিকট থেকে লোন নিয়ে এক বিঘা জমিতে পান চাষ শুরু করে ৫ বছর আগে। শুরুতেই বেশি লাভ করতে না পারলেও গত দুই বছর ধরে খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বছর তার আয় হচ্ছে ৫ লাখ টাকা। বেলাল জানান, গত বছর ৭ মাসে সে পান বিক্রি করেছে ৬ লাখ টাকার। এতে তার খরচ হয়েছে ২ লাখ টাকা। বর্তমান বাজারে প্রতি বিরা (একশত পান) পান বিক্রি হচ্ছে ২৫০ হতে ৩০০ টাকা দরে। পান চাষাবাদের উপকরণ হিসাবে বাঁশ, কাসিয়া খড়, পাটকাটি, সুতলি, সার ও কীটনাশক প্রয়োজন হয়। গাইবান্ধার সদরসহ উপজেলাগুলোর বাজারে প্রতি হাট বারের দিন পান বিক্রির আরদ বসে। কালিতলা বাজারের পান ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, এখন স্থানীয় পানের চাহিদা বেশি। এর আগে রাজশাহী, কুষ্ঠিয়া, পাবনা ও যশোরের পান আমাদের এলাকায় আসত। এখন আর আসে না। সে কারণে পান চাষিরা পানের বাজার দর ভাল পাচ্ছে।
কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, এই জেলার বেশ কিছু এলাকা পান চাষাবাদের জন্য অত্যন্ত উপযোগি। তিনি মনে করেন পান চাষাবাদ একটি দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়া। এখন পান চাষাবাদে অনেক লাভ। সে কারণে ইদানিং পান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকরা।
গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আফরোজা খাতুন নামে ৮ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের আলীগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আফরোজা খাতুন ওই গ্রামের আফাস উদ্দিনের মেয়ে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিকেলে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে খেলা করছিল শিশুটি। এ সময় পুকুরের সেচপাম্পের তারের সঙ্গে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়।