শুক্রবার ● ১২ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় সেই নুর উদ্দিন ভালুকায় গ্রেফতার
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় সেই নুর উদ্দিন ভালুকায় গ্রেফতার
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত অধ্যক্ষ এ এস এম সিরাজ উদদৌলার মুক্তি দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্বদাতা এবং হত্যা মামলার দ্বিতীয় নম্বর আসামি নুর উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার ১২ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ময়মনসিংহ ব্রাঞ্চ সিডষ্টোর এলাকা থেকে আসামি নুর উদ্দিনকে ভালুকা মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় গেফতার করতে সক্ষম হয়।
ভালুকা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নুর উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পিবিআই কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য,গত ৬ এপ্রিল ফেনী জেলার সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থী নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারীরা। পরিবারের অভিযোগ, ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে স্বজনদের দায়ের করা থানায় মামলা প্রত্যাহারের চাপ দিয়েও প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় নুসরাতকে আগুনে পোড়ানো হয়। আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়।
ওই ঘটনার প্রথম থেকেই সিরাজ উদদৌলার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নুর উদ্দিনকে প্রধান সন্দেহভাজনদের একজন মনে করছেন স্থানীয়রা। তাদের ভাষ্যে, নুসরাতকে আগুনে ঝলসে দেওয়ার ঘটনার আগের দিন ৫ এপ্রিল রাতে এবং ঘটনার দিন ৬ এপ্রিল সকালেও নুর উদ্দিনকে মাদ্রাসার মূল ফটকে দেখা গেছে। তার সঙ্গে ছিলেন শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম নামে আরও একজন। এ দু’জনই মামলার দ্বিতীয় ও তৃতীয় নম্বর আসামি।
পরে নুসরাতের শ্লালতাহানির মামলায় ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা গ্রেফতার হলে তার মুক্তির দাবিতে ‘মুক্তি পরিষদ’ নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির আহ্বায়ক হন নুর উদ্দিন এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক হন শাহাদাত। তাদের নেতৃত্বেই সিরাজ উদদৌলার মুক্তির দাবিতে ২৮ ও ৩০ মার্চ উপজেলা সদরে দুই দফা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। অভিযোগ রয়েছে,শ্লীলতাহানির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এরাই নুসরাত ও তার স্বজন-সঙ্গীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন। গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাতের গায়ে দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বোরকা ও নেকাব পরা যে চারজন অংশ নেন, তাদের সম্পর্কে নুর উদ্দিন জানতেন বলে ধারণা করছেন অনেকে। নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা মামলারও দ্বিতীয় আসামি তিনি।
ফুলপুরে পানিতে ডুবে মামাতো ফুফাতো দুই বোনের মৃত্যু
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ::ময়মনসিংহের ফুলপুরে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে জবা (৭) ও মাহিয়া (৬) নামে দুই শিশু মামাতো ফুফাতো বোনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত জবা ফুলপুর উপজেলার চরনিয়ামত গ্রামের জাহাঙ্গীর ও মাহিয়া শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার কেজাইকাটা গ্রমের মিন্টু মিয়ার মেয়ে। নিহত দু’জন সম্পর্কে মামাতো ও ফুফাতো বোন।
আজ শুক্রবার ১২ এপ্রিল বিকেলে ফুলপুর উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের চরনিয়ামত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাহিয়া তার নানাবাড়ি বেড়াতে এসে মামতো বোন জবাকে নিয়ে শুক্রবার দুপুরে পুকুরে গোসল করতে যায়। অনেক সময় পেড়িয়ে গেলেও তারা বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাদের খুঁজতে বের হয়। পরে তাদের পুকুরে ভাসতে দেখে উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পরপরই বিকেল ৩টার দিকে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি/তদন্ত) মেহেদী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।