শুক্রবার ● ১২ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » ফুল বিজু উদযাপনের মধ্য দিয়ে বৈসাবি উৎসব শুরু
ফুল বিজু উদযাপনের মধ্য দিয়ে বৈসাবি উৎসব শুরু
মহালছড়ি প্রতিনিধি :: পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বৃহত্তম ঐতিহ্যবাহী সামাজিক আয়োজন হলো চৈত্র সংক্রান্তি বা বৈসাবি। আজ পাহাড়িদের ‘ফুল বিজু’, দিনে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে তাদের পুরাতন বছর শেষ হওয়ার সাথে সাথে সকল গ্লানি মুছে দিয়ে নতুন বছর আগমনকে স্বাগত জানিয়ে সুখ ও শান্তি কামনায় গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে নদীতে ফুল দেওয়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বৈসাবি উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
আজ ১২ এপ্রিল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রামে ঐতিহ্যবাহী রং বেরঙের পোশাকে যুবক-যুবতীরা ফুল বিজু র্যালীতে অংশ গ্রহন করেছে। এ সময় মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা সং্িক্ষপ্ত উদ্বোধনী বক্তব্য দিয়ে ফুল বিজু র্যালী উদ্বোধন করেন। র্যালীটি বিশেষ বিশেষ এলাকা প্রদক্ষিণ করে নদীতে গিয়ে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে ফুল দেওয়ার মাধ্যমে র্যালী শেষ হয়।
পানিতে ফুল দেওয়ার মাধ্যমে তারা গঙ্গা মাকে শ্রদ্ধা জানান। পাহাড়িদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে ফুলকে বিবেচনা করা হয় পবিত্র জিনিস হিসেবে।
উৎসব প্রিয় পাহাড়িরা সারা বছর মেতে থাকেন নানান অনুষ্ঠানে। তবে তার সবকিছুকে ছাড়িয়ে বর্ষবিদায়ের এই উৎসবকে ঘিরে শুরু হয় নানা আনুষ্ঠিকতা। চাকমারা বিজু, ত্রিপুরা বৈসুক, মারমারা সংগ্রাই এভাবে তারা ভিন্ন ভিন্ন নামে আলাদাভাবে পালন করেন এই উৎসব। উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা বন থেকে ফুল সংগ্রহ করে সেই ফুল দিয়ে ঘর সাজান। পবিত্র এই ফুল গঙ্গামার উদ্দেশ্যে পূজা দেয় বলে তাই একে বলা হয় ফুল বিজু।
মহালছড়ি সেনাবাহিনীর বৈসাবী উৎসব উদযাপনের জন্য বিভিন্ন ক্লাবকে আর্থিক সহায়তা প্রদান
মহালছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব “বৈসাবি” উদযাপনের জন্য উপজেলার বিভিন্ন ক্লাবকে খেলাধূলা সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে সেনাবাহিনী। ১২ এপ্রিল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় মহালছড়ি জোন সদরে উপজেলার বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যদের উপস্থিতিতে খেলাধূলা সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন মহালছড়ি জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল মেহেদী হাসান পিএসসি।
এ সময় তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলা নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা ও পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সকল হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সেনাবাহিনী পাহাড়ে সকল সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রীতি রক্ষায় সবাইকে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার আহবান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, পার্বত্যচট্টগ্রামে পাহাড়িদের প্রধান তিন সম্প্রদায় ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা যথাক্রমে বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু নামে চৈত্রসংক্রান্তি প্রধান এ উৎসবকে সংক্ষিপ্তভাবে বৈসাবি নামে পরিচিত।