বুধবার ● ৬ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে ১সন্ত্রাসী নিহত
গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে ১সন্ত্রাসী নিহত
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে৷ তার নাম মনির হোসেন খান (৩৫)৷ তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সালনা কাথোরা এলাকায় বাসিন্দা এবং সিটি করপোরেশনের কর্মচারী কবির খানের ছেলে৷
৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে রাজেন্দ্রপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের (ন্যাশনাল পার্ক) ৩নং গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে৷
এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে৷ এরা হলেন- এএসআই মমিন ও কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান৷
জয়দেবপুর থানার এসআই সুজায়েত হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন পুলিশের তালিকাভুক্ত পলাতক আসামি সন্ত্রাসী মনির হোসেন তার সহযোগি সন্ত্রাসীদের নিয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ি কলেজ গেটের সামনে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক বেচাকেনা করছে৷ পরে সেখানে ডিবি ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মনির হোসেন খানকে আটক করে৷ এসময় তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়৷ পরে মনিরের দেহ তল্লাশি করে একশ’ পিস ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়৷ জিজ্ঞাসাবাদে মনির তার সহযোগিদের নাম এবং তাদের কাছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক এবং মাদক রয়েছে বলে স্বীকার করে৷ তার দেওয়া তথ্যমতে তাকে নিয়ে গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের (ন্যাশনাল পার্ক) ৩নং গেটের সামনে হালডোবা গ্রামস্থ কাওয়ামারাবাইদে বনের ভেতর কিছুদূর যাওয়ামাত্র রাত ১১টার দিকে মনিবের সহযোগিসহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মনিরকে ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও এলাপাতারি গুলি করে৷ আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে৷ এ সময় মনির পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়৷ সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে এএসআই মমিন ও কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান আহত হয়৷ পরে আহত সন্ত্রাসী মনির এবং দুই পুলিশ সদস্যকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ (শতামেক) হাসপাতাল পাঠানো হয়৷ এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড তাজা গুলি, ১২ রাউন্ড গুলির খোসা, ৫টি ককটেল উদ্ধার করা হয়৷
এসআই আরো জানান, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিত্সক সন্ত্রাসী মনিরকে মৃত ঘোষণা করেন৷ মনির হোসেন খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, খুন, মাদক, চাঁদাবাজিসহ জয়দেবপুর থানায় ২৭টি মামলা রয়েছে৷
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ (শতামেক) হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আবদুস সালাম সরকার জানান, মনিরকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল৷ তার ডান বুকে এবং পেটের উপরিভাগে গুলির চিহ্ন রয়েছে৷