বুধবার ● ১৭ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ৭ বছরের শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে রাজুকে চুল কেটে জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘুরিয়েছে গ্রামবাসী
৭ বছরের শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে রাজুকে চুল কেটে জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘুরিয়েছে গ্রামবাসী
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৭ বছরের শিশু বলাৎকার করার অভিযোগে রাজু নামের এক যুবককে চুল কেটে জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘুরিয়েছে গ্রামবাসী। পরে তাকে গনপিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামে। শিশুটির বাবা দুদু মিয়া জানান, মঙ্গলবার দুপুরে শ্যামপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বখাটে ছেলে রাজু তার ৭ বছরের শিশুপুত্রকে ফুসলিয়ে নিকটবর্তী মাঠে নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে জোর পূর্বক বলাৎকার করে রক্তাক্ত করে। স্থানীয়রা অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসি ক্ষুব্ধ হয়ে রাজুকে আটক করে গণধোলাইসহ মাথার চুল কেটে বেঁধে রাখে। বখাটে রাজু’র বিরুদ্ধে এলাকায় চুরিসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী আয়ুবুর রহমান জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনে বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন লিখিত অভিযোগ পেলেই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শৈলকুপার বসন্তপুর গ্রামে গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ১ জন নিহত, আহত-৬
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বসন্তপুর গ্রামে গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে রতন মন্ডল (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। বুধবার সকালে বসন্তপুর গ্রামের পুর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রতন মন্ডল ওই গ্রামের রাহান মন্ডলের ছেলে। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) তারেক আল্ মেহেদি সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝড়ে বসন্তপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর গাছের ডাল প্রতিবেশী ওলিয়ার রহমানের ঘরের উপর পড়ে। বুধবার সকালে সেকেন্দার আলী গাছের ডাল কাটতে গেলে উভয়ের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সেকেন্দার আলীর সমর্থক রতনসহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রোকন মন্ডলকে মৃত ঘোষনা করেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কোটচাঁদপুরের সাফদারপুর বাজারে ভাঙ্গা রাস্তায় নৌকা চালিয়ে অভিনব প্রতিবাদ
ঝিনাইদহ :: রাস্তায় ধান লাগিয়ে, কখনো রাস্তা খুড়ে মানুষের প্রতিবাদের ভাষা দেখা গেছে। তবে এবার ঝিনাইদহের একটি বাজারের ভাঙ্গা রাস্তার উপর নৌকা চালিয়ে রাস্তা মেরামতের দাবী জানানো হয়েছে। এলাবাসির ভাষ্যমতে, পাঁচ বছর ধরে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য। এলাকাবাসি গুরুত্বপুর্ন এই সড়কটি মেরামতের দাবী জানিয়ে আসলেও তাতে সাড়া দেয় না ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। অগত্য কি আর করা ! কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে রাস্তায় জমে থাকা পানিতে এবার নৌকা চালিয়ে রাস্তা মেরামতের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসি। ঝড়বৃষ্টির পর ভাঙ্গা রাস্তায় জমে থাকা পানিতে সোমবার বিকালে এলাকার স্কুল ও কলেজগামী যুবকরা বিশাল আকারের একটি নৌকা চালিয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানায়। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর বাজারে। রাস্তায় নৌকা চালানোর এই দৃশ্যটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান তার আইডিতে এই ছবি পোষ্ট করলে অনেকেই তা শেয়ার করেন। সাফদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নওশের আলী রাস্তায় নৌকা চালানোর কথা স্বীকার করে বলেন, খালিশপুর বাজার থেকে লক্ষিপুর পর্যন্ত রাস্তাটি ভেঙ্গেচুরে একাকার হয়ে গেছে। রাস্তায় এখন খালি পায়েও চলা যায় না। গত ৫ বছর ধরে গুরুত্বপুর্ন এই সড়কটি মেরামত হয়না। আমরা বহুবার ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে বলেছি। তারা আমাদের অভিযোগ আমলে নেয় না। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ স্বরূপ এলাকার ছেলেরা ভাঙ্গা রাস্তা জমে থাকা পানিতে নৌকা চালিয়ে প্রতিবাদ করেছে। সাফদারপুর বাজারের ব্যবসায়ী আব নছর জানান, খালিশপুর থেকে লক্ষিপুর পর্যন্ত রাস্তাটি মেরামত না করার কারণে এলাকার প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কালীগঞ্জ সার্কেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদার রহমান জানান, কোটচাঁপুরের চাঁদপাড়া, তালিনা, লক্ষিপুর, সাবদারপুর হয়ে খালিশপুর বাজার পর্যন্ত মোট ৩৯ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। গত বছরও পিএমপি প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটি মেরামতের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু হেড অফিস অনুমোদন দেয় নি। ফলে উপর মহলের পরামর্শে এডিবি দিয়ে বিধ্বস্ত রাস্তাটি মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য স্বীকার করে বলেন, আশা করা যায় আগামী জুনের পর গোটা রাস্তার কাজ শুরু করা হবে। তিনি বলেন ইতিমধ্যে এডিপি থেকে ১০ কিলোমিটার রাস্তা করার অনুমোদন এসেছে।
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ প্রশাসনকে তোয়াক্কা নেই, মহাসড়কের দু,পাশের বিভিন্ন স্থানে চলছে জমজমাট বালির ব্যবসা
ঝিনাইদহ :: প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ মহাসড়কের দু,পাশের বিভিন্ন স্থানে চলছে জমজমাট বালির ব্যবসা। এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ যাতায়াতের সমস্যা। সেই সাথে দুর্ভোগ বেড়েছে সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষের যানবাহনের। ব্যবসায়ীদের যত্রতত্র বালি রাখার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। আবার সড়কের পাশে বালি ভর্তি ট্রাক রেখে সড়ক আপকিয়ে যাজটের সৃষ্টি করছে। ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানায়, হামদহ,মুজিব চত্তর থেকে কোর্টের রাস্তা ও কালীগঞ্জ শ্রীলক্ষী মিনেমা হলের পাশে, শাহি হোটেলের সামনে, টার্মিনালের সামনে, এ ছাড়া খয়েরতলা থেকে দুলালমুন্দিয়া পর্যন্ত মগা সড়কের দু,পাশে অবাধে বালি বিক্রি করছে। এত করে একদিকে পরিশে নষ্ট হচ্ছে ও যাহবাহনের চলাচল করতে মারাতœক সমস্যা হচ্ছে। কালীগঞ্জ প্রমাসনের পক্ষ থেকে অনেকবার মাইকিং করা হয়েছে সড়কের পাশে বালির ট্রাক ও খুচরা বালি বিক্রি না করার জন্য। কিন্তু প্রশাসনের এসব কথা তোয়াক্কা করছে না। এছাড়াও শহরের নানা স্থানে বালি ব্যবসা করছেন অনেকে। অনেকে আবার বাড়ি, দোকান নির্মাণ করার জন্য সড়কের পাশে বালি রেখেছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সড়কের পাশে বালি রাখার কারণে তাদের চলাচল করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাতাস উঠলেই বালি উড়ে তাদের চোখে মুখে পড়ে। রাস্তার পাশে ট্রাক, পিকআপ ভ্যান রেছে বালি আনলোড করার সময় অনেক সময় যানজট লেগে যায়।স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, বালি ঢেকে রাখার নিয়ম থাকলেও তা কেউ মানছেন না। যে কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, রাস্তার পাশের বালি অপসারণের জন্য সড়ক ও জনপথকে জানানো হয়েছে। তারা কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ভোগান্তি থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিয়ে কালীগঞ্জ পৌরসভা সকল প্রকার সহযোগিতা করবে।