বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাগেরহাটে সরকারী ১২ পুকুর খননে চলছে পুকুর চুরি
বাগেরহাটে সরকারী ১২ পুকুর খননে চলছে পুকুর চুরি
বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের পুকুর খনন প্রকল্প নিয়ে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করেই দায়সারা ভাবে এই প্রকল্পের কাজ চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ ।২ টি পুকুর খনন কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শুষ্ক মৌসুমে পানি সঙ্কট দূরীকরণের লক্ষ্যে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে শরণখোলা উপজেলার ৪ ইউনিয়নে পানি সংরক্ষণের জন্য ১২টি পুকুর পুনঃ খননের দায়িত্ব পান খুলনা ও গোপালগঞ্জের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস.টি এন্ড এস.এস কনস্ট্রাকশন, এম.এস শেখ এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স শামীম এন্টারপ্রাইজ নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান। যার খনন ব্যয় প্রায় আড়াই কোটি টাকা। সম্প্রতি কদমতলা তালুকদার বাড়ী সরকারী পুকুর পুনঃখননের কাজের অগ্রগতি দেখেতে গেলে সেখানে শ্রমিক ছাড়া সংশ্লিষ্টদের কাউকেই দেখা যায়নি।
স্থনীয় বাসিন্দা ইয়াকুব আলী তালুকদার বলেন, এরকম পুকুর কাটা আমি কোন দিনও দেখিনি। একবার বৃষ্টি হলেই পাড় ভেঙ্গে পুকুরটি আগের মত ভরে যাবে। তাছাড়া এই কাজের নিয়ম কানুন কি আছে তা আমরা কেউ জানিনা।
দক্ষিণ সাউথখালী সরকারী পুকুরের জমি দাতা ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম খাঁন, স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল খালেক হাওলাদার, ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, আমাদের পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতা মতে, সরকারী পুকুর খননে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান করে একটি কমিটি করতে হয় এবং কাজের নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ উক্ত কমিটিকে অবহিত করে কাজের শেষে ওই পুকুর কমিটির কাছে বুঝিয়ে দেয়ার নিয়ম আছে।
কিন্তুু এখানে কোন কমিটি হয়নি, দায়সারা ভাবে পুকুরের সামান্য মাটি কেটে শুধু পাড় বাঁধা হয়েছে। পুকুরের পাড়ে কোন ইটের রাস্তা ও গেইট নেই, সীমানা পিলার বসানো হলেও গোড়ায় ঢালাই নেই, দায়সারা কাটা তারের বেড়া, পিএসএফ, টেংকি কোনটাই নেই। পুকুরের চারপাশে বনায়নের জন্য দু-চারটি গাছের চার রোপন করা হলেও তা ইতোমধ্যে অধিকাংশ মরে গেছে। এছাড়া পুকুরটি খনন তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ওই দপ্তরের মেকানিক মোঃ রাজিব হোসেন ও মেশনম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীনকে ৮ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। বগী পঞ্চায়েত বাড়ী সরকারী পুকুরের সুবিধাভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন পঞ্চায়েত ও রুস্তুম আলী খাঁন বলেন, উন্নয়নশীল সরকারের আমলে সরকারী অর্থ লুটপাট অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক। আমরা কাজের স্টিমিট চেয়েছি কিন্তুু সংশ্লিষ্টরা দেয়নি। পুকুরের চর্তুপাশ কেটে ছেটে পরিস্কার করে খনন কাজ চালাচ্ছে ঠিকাদারের লোকজন।
তাই পুকুর খনননে বরাদ্ধ কৃত টাকা পুরো খরচ হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশে সরকারি লাখ লাখ টাকা আত্মসাত চলছে। বর্ষা মৌসুমে খনন কাজ শুরু করায় কোন সুফল ভোগ করতে পারবে না স্থানীয়রা। প্রকল্প তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের রহস্য জনক ভূমিকার কারণে সরকারের মুল উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে। অপরদিকে, খননের মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হলেও কয়েকটি পুকুরের খনন কাজ এ পর্যন্ত শুরু করেননি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ ব্যাপারে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরে দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, নিয়ম নীতি অনুযায়ী পুকুর খননের কাজ চলছে। কোথাও কোন অনিয়ম নেই। এছাড়া ১২টি পুকুরের মধ্যে জটিলতার কারণে ২ টি পুকুর খনন কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে।
ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের সকল নব-নির্বাচিতদের সংবর্ধনা
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের ফকিরহাট অফিসার্স ক্লাব এর আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাশ, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাহীদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তহুরা খানম এর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিগন সহ বিভিন্ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিতদের ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহানাজ পারভীন। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ দিলদার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফকিরহাট সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) রহিমা সুলতানা বুশরা, অফিসার ইনচার্জ আবু জাহিদ শেখ, ইউপি চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ পুষ্পেন কুমার শিকদার, মৎস্য অফিসার অভিজিৎ শীল, নির্বাচন অফিসার এস এম হাবিবুর রহমান, ডাঃ শাহরিয়া শামীম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার তন্ময় দত্ত প্রমূখ। এসময় ইউপি চেয়ারম্যানগন এস এম আবুল হোসেন, মোঃ রেজাউল করিম ফকির, কাজি মোঃ মহসিন, খান শামিম জামান পলাশ, এ্যাডঃ হিটলার গোলদার, মোঃ শহিদুল ইসলাম, বেতাগা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুস আলী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহিদুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সাঈদা দিলরুবা সুলতানা, খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার হামিদা পারভীন সহ উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা, ব্যাংক কর্মকর্তা, গনমাধ্যমকর্মী ও বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।