সোমবার ● ২২ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঘুমের ইনজেকশন পুশ করে ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষন করলো গ্রাম্য চিকিৎসক সাইফুল
ঘুমের ইনজেকশন পুশ করে ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষন করলো গ্রাম্য চিকিৎসক সাইফুল
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সেজিয়া বাজারে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম। পুলিশ ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে (৩২) গ্রেফতার করেছে। রোববার সকালে সেজিয়া বাজারের নাজ ফার্মেসিতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বিকেলে খবর পেয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। সেজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে ওই ছাত্রী। গ্রেফতার পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়নের সেজিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মাদের ছেলে। সেজিয়া বাজারের নাজ ফার্মেসিতে ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি পল্লী চিকিৎসকের কাজ করে সাইফুল। ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন ধরেবই তার মেয়ের জ্বর। শরীর ভালো না হওয়ায় শনিবার রাতে সাইফুল ইসলামের নাজ ফার্মেসিতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান মেয়ের বাবা। সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। ওই সময় পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম মেয়ের বাবাকে বলে সকালে পাঠিয়ে দেবেন আরও চিকিৎসা দিতে হবে। রোববার সকালে পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলামের কথামতো চিকিৎসার জন্য মেয়েকে নাজ ফার্মেসিতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে গেলে সাইফুল ইসলাম ওই ছাত্রীর শরীরে একটি ইনজেকশন পুশ করে। সেই সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়। এরপর মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে লম্পট সাইফুল তাকে ধর্ষণ করে সাইফুল। স্কুলছাত্রীর মা আরও বলেন, মেয়ের আসতে দেরি দেখে তারা নাজ ফার্মেসিতে গিয়ে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্রী পড়ে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে অবস্থায় প্রথমে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অবস্থার অবনতি ঘটলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা গুরুতর। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৭ই এপ্রিল একধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ঝিনাইদহ শহরের আলহেরা ইসলামী ইনস্টিটিউট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার করা হয়।
ঝিনাইদহে যুবলীগ নেতা ও তার ছেলের অত্যাচাওে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীর মানববন্ধন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: যুবলীগ নেতা কাজী এনামুল হক মিলন ও তার সন্ত্রাসী ছেলে কাজী চন্দনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ শহরের কলাবাগান ও কাঞ্চননগরবাসি প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে। রোববার সকালে কলাবাগান ও কাঞ্চননগর পাড়ার শত শত মানুষ শহরের পোষ্ট অফিস মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে। এর আগে তারা শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। মিছিলে তারা যুবলীগ নেতা কাজী মিলন ও তার সন্ত্রাসী ছেলে কাজী চন্দনের ছবি সম্বলিত প্লাকার্ড ও ব্যানার বহন করে। তাতে লেখা ছিল “দীর্ঘদিন ধরে কলাবাগান ও কাঞ্চননগরসহ ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে খুন, ধর্ষন ও চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধ মুলক কর্মকান্ড চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নিরীহ মানুষের উপর অমানষিক নির্যাতন জুলুম চালিয়ে যাচ্ছে। প্লাকার্ডে পিতা পুত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে। শহরের পোষ্ট অফিস মোড়ে মানববন্ধন কর্মসুচি শেষে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, ইসরাইল হোসেন শান্তি জোয়ারদার, সাবেক ছাত্র নেতা রহুল কুদ্দুস দুদু, শাহিনুর রহমান লাভলু, লিয়াকত হোসেন, আব্দুল মজিদ ও মডার্নপাড়ার মনি। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কাজী এনামুল হক মিলন ও তার সন্ত্রাসী ছেলে কাজী চন্দন আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে শহরব্যাপী সন্ত্রাসের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। দোকানগুলো থেকে জোর পুর্বক রড, সিমেন্টসহ নানা সামগ্রী জোর করে নিয়ে বাড়ি তৈরী করছে। এ জন্য কলাবাগান ও কাঞ্চননগর এলাকার মানুষকে বাধ্যতামুলক চাঁদা দিতে হচ্ছে। এতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ নিরুপায় হয়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়।
শৈলকুপায় চরবাখরবা গ্রামে বড় ভাইয়ের কুড়ালের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চরবাখরবা গ্রামে বড় ভাইয়ের কুড়ালের আঘাতে ছোট ভাই আব্দুল মালেক (৪২) নিহত হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে। জানা গেছে পৈত্রিক জমিজাতি ভাগবাটোয়ারা নিয়ে গত শনিবার রাতে পারিবারিক ভাবে শালিস বসে। এ সময় বড় ভাই আব্দুল খালেকের সাথে ছোট ভাই মালেকের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে কুড়াল দিয়ে বড় ভাই খালেক ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় মালেককে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার রাতে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। শৈলকুপা থানার ওসি কাজী আইয়ূূবুর রহমান জানান, লোকমুখে শুনেছি পারিবারিক বিরোধের জের ধরে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের কাছে কোন অভিযোগ বা তথ্য প্রমান আসেনি।