বুধবার ● ২৪ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » আলীকদমে এক নারী ও তার তিন সন্তানকে পেটালেন মাদরাসার শিক্ষক
আলীকদমে এক নারী ও তার তিন সন্তানকে পেটালেন মাদরাসার শিক্ষক
আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: নুসরাত হত্যাকান্ডের ঘটনার পর এবার বান্দরবানের আলীকদমে টিউবওয়েল থেকে পানি নেওয়াকে কেন্দ্র করে আলীকদম উপজেলার ১নং আলীকদম ইউনিয়নের দানু সর্দার পাড়া এলাকার সালমা বেগম (৩৫) ও তার দুই ছেলে মো. আলম (১৯), মো. রফিক (১৬) এবং মেয়ে রহিমা জান্নাত রুনা আলীকদম বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে আলীকদম ফয়জুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক শামসুল হুদা ও সহকারী শিক্ষকরা। মঙ্গলবার সকাল নটায় সালমা বেগম এর ছেলে মোঃ আলম মাদরাসার টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গেলে জঘন্য এঘটনা ঘটে।
মো. আলম জানায় এলাকার সব লোক মাদরাসার টিউবওয়েল থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করে। মঙ্গলবার সকালে আমি পানি আনতে গেলে মাদরাসার সুপার শামসুল হুদা আমাকে ঝাড়ু নিয়ে পিটিয়ে মাদরাসা থেকে বের করে দেয়। ঘটনা জানতে পেরে আমার ছোট ভাই মোঃ রফিক ঘটনা স্থলে আসলে তাকে গলা চেপে ধরে ছুড়ে মারে। তার কিছুক্ষনের মধ্যে আমার মা ও আমার ছোট বোন ছুটে আসে। এসময় একজন শিক্ষক আমার ভোট বোনকে হাত দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় এবং সুপার ও শিক্ষকরা আমার মাকে দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার মাকে টয়লেটের দেওয়ালে ধাক্কাদিয়ে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে আমার মা আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন আছে।
ছালমা বেগম এর ছোট ছেলে মোঃ রফিক এর মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে ফয়জুল উলুম মাদরাসার সুপার শামসুল হুদা ছালমা বেগমকে কিল ঘুষি মারছে এবং টয়লেটের দেওয়ালে মাথা ঠুকে মারছে।
তবে ঘটনার বিষয়ে কথা বলার জন্য মাদরাসার শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য মুঠোফোনে বহুবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।
এবিষয়ে আলীকদম থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) রফিক উল্লাহ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান মাদরাসার টিউবওয়েল থেকে পাানি নেওয়াকে কেন্দ্র করে এঘনা ঘটেছে। আমরা এজাহার নামীয় ৫ জন এবং অজ্ঞাত আরো ৩ থেকে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছি এবং দুই জনকে আটক করেছি। আলীকদম থানার মামলা নং- ৪, তারিখ- ২৪/০৪/২০১৯ খ্রি:। তিনি আরো বলেন, ২৪ এপ্রিল বুধবার মাদরাসার বার্ষিক মাহফিল এর তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার সার্থে মাহফিলের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।