বুধবার ● ২৪ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ‘কৃষকের ছেলের পরিচয়ে আমি গর্বিত : মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার
‘কৃষকের ছেলের পরিচয়ে আমি গর্বিত : মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, প্রেসিডেন্টের সন্তানের চেয়ে কৃষকের ছেলের পরিচয় দিতে আমি গর্ববোধ করি। আমার বাবা-মা কৃষক। আমি কৃষক পরিবারের সন্তান।
আজ বুধবার ২৪ এপ্রিল সকালে নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার কিয়দংয়শ ও ময়মনসিংহে জেলার গৗরীপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজার এলাকায় ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ার ওয়ার্কশপে তৈরি বিএইউ-এসটিআর ড্রায়ার (ধান শুকানো) যন্ত্র কারখানায় প্রস্তুতকৃত মেশিন ও তার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার সকাল ১০টায় গৌরীপুর শ্যামগঞ্জ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনীতে পৌঁছান। এর পর তাকে স্বাগত জানান ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক আবদুর রাজ্জাক।
এসময় নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ শাহজাহান মিয়া, পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নমিতা দে ফুলেল শুভেচ্ছায় তাকে বরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার স্থানীয় ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ার ওয়ার্কশপে তৈরি বিএইউ-এসটিআর ড্রায়ার (ধান শুকানো) যন্ত্র কারখানায় প্রস্তুতকৃত মেশিন ও তার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ যন্ত্র আবিষ্কারের জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি এ সময় ধান শুকানো যন্ত্রের ব্যবহার, ধান মাড়াই যন্ত্রের ব্যবহার নিজ চোখে দেখেন।
রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার ড্রায়ার (ধান শুকানো) যন্ত্র কারখানায় প্রস্তুতকৃত মেশিন ও তার কার্যক্রম পরিদর্শন কালে এসময় আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ মঞ্জুরুল আলম, প্রফেসর ড. চয়ন কুমার সাহা, সুরজিৎ সরকার, নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ শাহজাহান মিয়া, পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নমিতা দে, পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ তাওহিদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান, গোয়ালাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ আল মামুন শহীদ ফকির, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মতিউর রহমান, আবদুল কুদ্দুস তালুকদার, মিলমালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাংবাদিক তিলক রায়, মোঃ রইছ উদ্দিন, শ্যামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোবিন্দ বণিক প্রমুখ।
উল্লেখ্য,স্বল্প খরচে ক্ষুদ্র কৃষকের ধান শুকানো যন্ত্রণার অবসান করল এ ড্রায়ার মেশিন। যার পুরো নাম বিএইউ-এসটিআর ড্রায়ার (ধান শুকানো যন্ত্র)। এ যন্ত্র আবিষ্কার করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মঞ্জুরুল আলম। তার দেখানো মতেই এ যন্ত্র প্রস্তুত করছেন পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মালিক আবদুর রাজ্জাক।
গৌরীপুরে প্রেমিক পুলিশ সদস্যদের বাড়িতে বিষের শিশি নিয়ে প্রেমিকার অবস্থান
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলার পানাটি গ্রামের বাসিন্দা পুলিশ সদস্যে প্রেমিক জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন প্রেমিকা খাদিজা আক্তার আঁখি (২১) নামের এক তরুণী। প্রেমিক খাদিজা একই উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ধূরুয়া গ্রামের কৃষক কাশেম মিয়ার মেয়ে এবং প্রেমিক পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম (২৬) একই উপজেলার পানাটি গ্রামের শামছুল হকের ছেলে।
বুধবার(২৪ এপ্রিল) দুপুরে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলার পানাটি গ্রামে পুলিশ সদস্যে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে অবস্থান করে অনশন করা ওই তরুণী জানায়, গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল থেকে স্ত্রীর মর্যাদা আদায়ের জন্য ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলার পানাটি গ্রামে পুলিশ সদস্যে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে অবস্থান করছি।
‘স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম আমাকে (আঁখি) ঘরে তুলে না নিলে, লাশ হয়ে ফিরে যাব বাবার বাড়িতে। এজন্য বিষের শিশি সাথে নিয়ে এসেছি।’ পুলিশ সদস্য প্রেমিকের প্রতারনার শিকার হয়ে খাদিজা আক্তার আঁখি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এভাবে তার মনের কথাগুলো ব্যক্ত করেন।
প্রেমিকা খাদিজা আরো জানান, ৬ বছর আগে জাহাঙ্গীরের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তাদের পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আদালতে এফিডেভিট ও রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা ময়মনসিংহ শহরে একটি ভাড়া বাসায় প্রায় ৩ মাস একসঙ্গে থাকেন। এরপর জাহাঙ্গীর তার পরিবারের সদস্যদের ম্যানেজ করে ঘরে তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
কিছুদিন পর খাদিজাকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জাহাঙ্গীর। এ বিয়ের ঘটনা জানার পর জাহাঙ্গীরের কাছে স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করে ঘরে তুলে নেয়ার আকুতি জানায় খাদিজা। এসময় জাহাঙ্গীর তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে উল্টো তাকে নানা হুমকী-দমকী প্রদান করেন।
এসময় খাদিজা আরো জানান,‘স্বামীর অধিকার আদায়ের জন্য ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের পুলিশ কনস্টেবল নং-৫৪৩৯। তিনি রাজধানীর উত্তরা থানায় কর্মরত আছেন বলে খাদিজা এসময় আরো জানান ।
এ ঘটনার ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও জাহাঙ্গীরের বড় ভাই সাদ্দাম হোসেন জানান, ‘খাদিজার সাথে তার ভাইয়ের বিয়ের ঘটনা তাদের পরিবারের লোকজন আগে জানত না। মঙ্গলবার বিকেলে ওই তরুণী তাদের বাড়িতে অবস্থান করার পর ঘটনাটি তারা জানতে পারেন বলে জানান তিনি।’
কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের পরিচালক কর্তৃক সিনিয়র স্টাফ নার্সকে যৌন হয়রানীর প্রতিবাদে ময়মনসিংহে মানববন্ধন
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ::কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের পরিচালক কর্তৃক সিনিয়র স্টাফ নার্সকে যৌন হয়রানীর প্রতিবাদে এবং এ ঘটনায় জড়িতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ময়মনসিংহে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে বাংলাদেশ নার্সেস এসাসিয়েশন (বিএনএ) ময়সনসিংহ শাখার উদ্যোগে ঘন্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন বিএনএ’র ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নাজমা খাতুন, সহ-সভাপতি মমতাজ বেগম, ময়মনসিংহ নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাথরিন ¯িœগ্ধা বালা, অর্থ সম্পাদক রাশিদা খানম, সফিকুল ইসলাম, জয়নাল আবেদিন, কাওসার আহমেদ শান্ত প্রমুখ।
বক্তরা কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারী হাসপাতালের পরিচালক মনিরুল হাসানকে অবিলম্বে অপসারণ করে তার বিরুদ্ধে নার্সকে যৌন হয়রানির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।