বুধবার ● ২৪ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » তীব্র দাবদাহ, আখের রসে পিপাসা নিবারণ
তীব্র দাবদাহ, আখের রসে পিপাসা নিবারণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধায় হঠাৎ করেই তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহ থেকেই এ অবস্থা বিরাজ করছে। অথচ বৃষ্টির দেখা নেই। ফলে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে।
বৈশাখের শুরুতে কিছুটা বৃষ্টি হলেও পরে তাও বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় গ্রীষ্মের শুরুতেই উত্তাপও বাড়তে শুরু করে। ফলে জলাশয় নদী খাল-বিলগুলো ইতোমধ্যে পানি শূন্যতায় খাঁ খাঁ করছে। গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথেই ডায়রিয়া, পেটের বিভিন্ন পীড়া, সর্দি কাশিও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে বৃদ্ধ ও শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। জেলার হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এতদসংক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
তীব্র দাবদাহের কারণে কর্মজীবী মানুষেরা এবং জমিতে কৃষি শ্রমিকরা সঠিকভাবে কাজও করতে পারছে না। ফলে বাধ্য হয়ে মানুষ পথের ধারের শরবতের দোকান থেকে শরবত, আখের রস ও ডাবের পানি পান করে পিপাসা নিবারণ করছে। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা এসব জিনিসের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে।
গাইবান্ধায় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবনে দুর্ভোগ
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধায় চলমান তাপ প্রবাহে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দিনে এবং রাতেও এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট অব্যাহত থাকছে। তদুপরি আকাশে মেঘ জমলে এবং সামান্য বৃষ্টি বাতাসেই গাইবান্ধায় বিদ্যুৎ উধাও হয়ে যায়। আবার সে বিদ্যুত কমপক্ষে দু’ থেকে তিন ঘন্টা পর আসে। আর রাতে এ সমস্যা দেখা দিলে বিদ্যুৎ ফিরে আসে পরদিন সকালে।
চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হলেও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হচ্ছে না গাইবান্ধার নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেড (নেসকো) কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিক অবস্থাতেও প্রতিদিন দিনে এবং রাতে শুধু শহর এলাকাতেই ৭ থেকে ৮ বার আধা ঘন্টা থেকে দেড় ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। গ্রামাঞ্চলগুলোতে এ সমস্যা আরও প্রকট বলে জানা গেছে।
গাইবান্ধা নেসকো সুত্রে জানা গেছে, জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ৩৩ মেগাওয়াট হলেও সেখানে পলাশবাড়ির গ্রিড লাইন থেকে দিনে ২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং করে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের এই কারণ সম্পর্কে নেসকো সুত্রে বলা হয়, বগুড়ায় গ্রিডলাইনে মেরামত কাজ অব্যাহত থাকায় আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত গাইবান্ধায় চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। মেরামত কাজ সম্পন্ন হলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের উন্নতি হবে বলে সুত্রটি আশা প্রকাশ করেছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে এলাকায় এলাকায় মাইকিং করেও জানানো হয়েছে।