শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » চাটমোহরে চক্ষু চিকিৎসকের এক লাখ টাকা জরিমানা
চাটমোহরে চক্ষু চিকিৎসকের এক লাখ টাকা জরিমানা
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: পাবনার চাটমোহরে চক্ষু ক্যাম্প চলাকালে মোহাম্মদ আলী (বিএমডিসি রেজিঃনং ৬৪০২০) নামক এক চিকিৎসককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সরকার অসীম কুমার। ডাঃ মোহাম্মদ আলী নাটোরের গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ডাঃ মোহাম্মদ আলীর মালিকানাধীন নাটোরের গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় বাজার এলাকায় অবস্থিত অনুমোদন বিহীন আনোয়ার হোসেন চক্ষু ও জেনারেল হাসপাতালের আয়োজনে বৃহস্পতিবার পাবনার চাটমোহরের বিলচলন ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ে মাত্র ত্রিশ টাকা ফিতে চক্ষু মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে মর্মে গত বুধবার মাইকিং করা হয় ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। ডাঃ মোহাম্মদ আলী (এমবিবিএস,সিসিডি,ডিএমইউ,ডিও-চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ঢাকা-ডায়াবেটিক রোগ বিশেষজ্ঞ, বার্ডেম ঢাকা)এবং মনজুরুল ইসলাম মাসুম (এম.এল.ওপি.বি.এন.এস.বি সিরাজগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল ডি.ও.এল.ভি, ইউ.ওব.সাউথ এশিয়া (ঢাকা) চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন বলে লিফলেটে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার ডাঃ মোহাম্মদ আলীর ক্লিনিকে কর্মরত মনজুরুল ইসলাম এ ক্যাম্পে না আসলেও ডাঃ মোহাম্মদ আলী ক্যাম্পে রোগি দেখা শুরু করেন এবং অনেক রোগির নিকট থেকে অতিরিক্ত চার-পাঁচশত করে টাকা আদায় করেন। এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারি কমিশনার ভূমি ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেখ নাসির উদ্দিনকে বিষয়টি অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান আদালত বসান। এসময় সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইকতেখারুল ইসলাম ও চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপ কর্মকর্তা ডাঃ সবিজুর রহমান ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেখ নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভূয়া প্রচারণা, বেআইনী চক্ষু ক্যাম্প স্থাপন, বিশেষজ্ঞ না হয়েও লিফলেটে বিশেষজ্ঞ কথা ব্যবহার করা,তিনি যেসকল হাসপাতালে কর্মরত নয় সেসকল হাসপাতালের নাম ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কথা স্বীকার করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০১০ অনুযায়ী তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয় এবং রোগিদের টাকা ফেরত দেয়া হয়। তিনি সারা দেশের আর কোথাও অনুমোদন বিহীন চক্ষু ক্যাম্প করবেন না বলে মুচলেকা ও দেন। পরে জরিমানার টাকা দিয়ে তিনি মুক্ত হন।
এ ব্যাপারে ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, ডাঃ মোহাম্মদ আলী আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক নয়। তিনি আমাদের হাসপাতালের নাম ব্যবহার করে রোগিদের সাথে প্রতারণা করছেন।