শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » মসজিদ কমিটির সভাপতির হামলায় মুসল্লির মৃত্যু
মসজিদ কমিটির সভাপতির হামলায় মুসল্লির মৃত্যু
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নে মসজিদের টাকার হিসাব নিয়ে কথার কাটাকাটির সময় মসজিদ কমিটির সভাপতির হামলার হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আব্দুল করিম মুন্সি (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের ফকিরপাড়া জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল করিম মুন্সি সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত তসলিম মুন্সির ছেলে।
এলাকাবাসিরা জানান, জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমানের কাছে ফকিরপাড়া জামে মসজিদের নামে বিভিন্ন ফান্ডের টাকার হিসাব চায় সফি নামের এক মুসল্লি। এসময় আনিছুর রহমান ও তার দুই সহোদর ভাই জলিল ও শাহিন মিয়া হিসাব দিতে তালবাহনা করে। এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে আনিছুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে সফিকে চর-থাপ্পড় মারে। এসময় হামিদুল ইসলাম নামের এক মুসল্লি মারামারি থামানোর চেষ্টা করলে আনিছুর হামিদুলের উপর চড়াও হয় এবং তাকেও মারধর করে এলোপাথারি ঘুষি মারতে থাকে। মসজিদ কমিটির সভাপতি আনিছুরের হামলা থেকে আব্দুল করিম মুন্সি তার ছেলে হামিদুলকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে আনিছুরের ঘুষিতে আব্দুল করিম মুন্সি আহত হয় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এঘটনায হামিদুল ও সফি আহত হয়।
এ বিষয়ে সাঘাটা থানার বোনারপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সেপেক্টর মোখলেচুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় লাশটি উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
গাইবান্ধায় শুরু হয়নি টিসিবির পণ্য বিক্রি
গাইবান্ধা :: গত মঙ্গলবার থেকে ভ্রাম্যমান ট্রাকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর উদ্যোগে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গাইবান্ধায় শুরু হয়নি এ কার্যক্রম। রংপুর থেকে মেসার্স রিয়াদ এন্টারপ্রাইজ পণ্যসামগ্রী নিয়ে এলেও ট্রাক নষ্টের অজুহাতে তিনি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
টিসিবি সুত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে ৩ জুন পর্যন্ত প্রতি কেজি খেজুর ১৩৫ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮৫ টাকা, ছোলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, চিনি ৪৭ টাকা ও মসুর ডাল বিক্রি হবে ৪৪ টাকা কেজি দরে। এরমধ্যে খেজুর বিক্রি শুরু হবে ৪ মে থেকে। এসব ভোগ্যপণ্য বিক্রির জন্য গাইবান্ধার সাত উপজেলার ৫৮ জন ডিলারের মধ্যে শহরের দুইটি পয়েন্টে ভ্রাম্যমান ট্রাকে প্রতিদিন বিক্রি করবে রিয়াদ এন্টারপ্রাইজ ও বিজলী ট্রেডার্স। অন্যান্য ডিলাররা পণ্য বিক্রি করবেন তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে। ক্রেতারা জনপ্রতি চিনি, ছোলা ও মসুর ডাল সর্বোচ্চ চার কেজি, খেজুর এক কেজি ও সয়াবিন তেল পাঁচ লিটার করে কিনতে পারবেন। নির্ধারিতস্থানে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ছয়টা পর্যন্ত ডিলারকে এসব পণ্য বিক্রি করতে হবে ডিলারদের।
শহরের ট্রাফিক মোড়ের সেলিম মিয়া বলেন, দিন আনি দিন খাই। অসুখে পড়ে একদিন রিকসা না চালালে টাকা ধার করে চলতে হয়। কমদামে পণ্য বিক্রির কথা শুনে শনিবার ডিসি অফিসের সামনে গিয়ে দেখি মালামাল বিক্রির কোন ট্রাক নাই।
এ বিষয়ে রিয়াদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী সোহেল রানা বলেন, ট্রাক নষ্ট হওয়ায় বিক্রি শুরু করতে পারিনি। পণ্যসামগ্রী নিয়ে আসা হয়েছে। সেগুলো প্যাকেটিংয়ের কাজ চলছে। আগামী রবিবার সকাল থেকে ডিসি অফিসের সামনে বিক্রি শুরু হবে। বিজলী ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী হাবিজার রহমান বলেন, শনিবার রংপুরে যাবো। সেখান থেকে যে স্থানে বিক্রি করতে বলবে পণ্যসামগ্রী সেখানেই বিক্রি করা হবে।
রংপুর টিসিবির সংরক্ষণ ও বিক্রয়কারী নুরুন নবী মোবাইলে ফোনে বলেন, শুধু খেজুর বাদে আগামী রবিবার থেকেই ডিসি অফিসের সামনে ও শহরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণস্থানে ট্রাকে করে বিক্রি শুরু হবে পণ্যসামগ্রী। এ ছাড়া যারা নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করবেন এমন কয়েকজন ডিলারও যোগাযোগ করেছেন। তারা এসে মালামাল নিয়ে গেলে বিক্রি শুরু হবে।
টিসিবির পণ্য তদারকি কমিটির আহবায়ক গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফায়েল হোসেন বলেন, আমাদের শাখা থেকে পণ্য উত্তোলন করা ওই ডিলারের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।